Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমালোচনাকে আমরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করি

সাংবাদিকদের কর্মশালায় দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যম কর্মীরা আমাদের শত্রু নন-বরং সহযোগি বা সহযাত্রী। আমাদের নিয়ে সমালোচনা করা হলেও আমরা আপনাদের (সংবাদ মাধ্যম) শত্রু ভাবি না। বরং আমরা মনে করি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে সমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সমালোচনাকে আমরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করি।

গতকাল বুধবার সেগুনবাগিচাস্থ দুদক কার্যালয়ে ‘দুর্নীতি দমনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের তালিকা আরো দীর্ঘ হচ্ছে। ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, ক্যাসিনো কান্ড নিয়ে অনেক কথা হয়। ক্যাসিনো কর্মকান্ড কিন্তু দুদক আইনে তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। তবে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ। আমরা অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অন্য কোনও সংস্থা নয়, দুর্নীতির তথ্যের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে গণমাধ্যম। আমরা আমাদের এই কর্ম প্রক্রিয়া থামাবো না। এটা চলবে। দুর্নীতিবাজদের যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের আওতায় আনতে পারছি ততোক্ষণ নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের তাড়া করবো।
দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পেছনে প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। এই দুর্নীতির মাত্রা যতটা কমিয়ে আনা যায় সেটাই হবে মুজিব বর্ষে আমাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম কাজ।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, মানুষ গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদ বিশ্বাস করে। এমনকি শিশুরা সংবাদপত্র থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। সংবাদপত্র, টেলিভিশন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। আমার মনে হয় গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব দেশের প্রতি। কোনো সংবাদ যেন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না করে সে দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।

দুদক চেযারম্যান বলেন, ‘গত প্রায চার বছরে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমরা পিছপা হইনি। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি, এ সময়ে কারও দ্বারা প্রভাবিত হইনি। যা করেছি নিজের বিবেক-বিবেচনা বোধ থেকেই করেছি। আপনারা (সাংবাদিক) অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনও দোষ-ত্রুটি খুঁজে পান তা নিয়েও সংবাদ প্রকাশ করবেন। জনগণকে জানাবেন। কারণ দুদক জনগণের প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক ছাড়া দুদকের অস্তিত্ব দৃশ্যমান নয়।

প্রশিক্ষন কর্মশালায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, দুদকের প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল ও রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) সাধারণ সম্পাদক আদিত্য আরাফাত প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইতিবাচক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ