বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম থেকে : আওয়ামী লীগ সরকারের ৮ বছরের চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে আর এই উন্নয়নের রূপকার হলেন কুমিলা-১১ চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব। তিনি বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে যথাক্রমে সপ্তম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদের এমপি নির্বাচিত হন। এমপি হয়ে সংসদের হুইপ হয়েছেন, রেলমন্ত্রী হয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের রেল ও ধর্মমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে আবার রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কুমিল্লা জেলার ১৬টি উপজেলার মধ্যে ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক কারণসহ নানাভাবে আলোচিত চৌদ্দগ্রাম উপজেলাটি। স্বাধীনতার পর থেকে এ উপজেলা ১৯৯৬ সাল পযর্ন্ত ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রাথী মুজবুল হক প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে হুইপ মনোনীত হন। সে সময়ও মুজিবুল হক স্কুল, মাদরাসা, রাস্তা-ঘাট, পুল কালভার্টসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেন। পরবতীতে ২০০১ সালে চার দলীয় জোটের প্রার্থী নিবার্চিত হলে উন্নয়নে ভাটাপড়ে। এরপর ২০০৮ সালে আবারও মুজিবুল হক নির্বাচিত হয়ে তিনি আবারও হুইপ নিবার্চিত হয়ে এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ফিরে আনে। মহাজাট সরকাররের যখন ১৫ মাস বাকী রয়েছে। ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী সভা স¤প্রসারণ করে চৌদ্দগ্রামের এই কৃতিসন্তানকে রেলমন্ত্রণালয়ের মত একটি গুরুত্বপূণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করলে তিনি অত্যন্ত কৃতিতের সহিত এই দায়িত্ব পালন করেন। তবে তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে ভুলে যায়নি চৌদ্দগ্রামের উন্নায়নের কথা। নিবার্চনকালীন সরকারের সময় অনেক হেভিওয়েট মন্ত্রী বাদ হলেও সততার কারণে মুজিবুল হক বাদ পড়েনি বরং তাকে অতিরিক্ত ভাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তিনি আবারও রেলমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এসময় তিনি এলাকার উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূূচি হাতে নেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪র্থ তলা একটি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ ভবনও অডিটোরিয়াম, ২য়তলা ভবনের উপজেলা নির্বাচনী অফিস, নতুন একটি আইটি ভবন যাহা আগে ছিলো না, ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবন, ১ কোট ৬৭ লাখ টাকা ব্যায়ে চৌদ্দগ্রাম এ জে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে চৌদ্দগ্রাম গালর্স স্কুলের ২য় তলা নতুন ভবন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষতাসম্পন্ন একটি খাদ্য গুদাম, চৌদ্দগ্রাম থানার ২য়তলা আধুনিক একটি ভবন, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাক বাংলা ভবন, ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিচন্দ্রনগর মাদরাসার নতুন ভবন, সাড়ে ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে চৌদ্দগ্রাম নজুমিয়া ফাজিল মাদরাসার নতুন ভবন ছাড়াও উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক স্কুল, মাদরাসা, মক্তবসহ বিভিন্ন ধমীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নায়ন করেছেন, আরো উন্নয়ন করেছেন রাস্তা-ঘাট,পুল-কালভার্টের। বিদুৎতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ও তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন উপজেলার পৌর ্এলাকার শ্রীপুরে ৭০ মেগাওয়াট উপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের সিদ্বান্ত নিয়েছেন, স্থাপন করেছেন উপজেলার নারায়ণপুর ও জগন্নাদে দুইটি নতুন সাবস্টেশন যার ফলে এখন চৌদ্দগ্রামে বিদুৎতের লোডশেডিং তেমন নেই এবং দক্ষিণ চৌদ্দগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি আকদিয়-বান্দেরজলায় ২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার সেতুটি ২০১৪ সালের ১০মে রেলমন্ত্রী উদ্বোধন করেন যেখানে ৩৩ বছর পরে লাকসাম পৌরসভাটি “খ” শ্রেণি থেকে “ক” শ্রেণিতে উন্নতি হয়েছে সে খানে মুজিবুল হকের একক প্রচেষ্টায় মাত্র ৩৩ মাসে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাটি “খ” শ্রেণি থেকে “ক” শ্রেণিতে উন্নতি করেছেন।
মুজিবুল হক মন্ত্রী হওয়ার আগেও পরে দেশের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তার বিভিন্ন অনিয়মের ক্লু খুঁজেও পায়নি। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুজিবুল হকের একটি ক্লিন ইমেজ আছে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। দেশের বিভিন্নস্থানে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দলের বিভিন্ন স্তরে কোন্দল থাকলেও মুজিবুল হকের দক্ষতার কারণে এ উপজেলায় তা নেই যার ফলে চৌদ্দগ্রামে উন্নয়নেও তার কোন ভাটা পড়ে নাই। যার ফলে ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হন।
এ ছাড়াও মুজিবুল হকের দক্ষ নেতৃত্ব এবং উন্নয়নের কারণে উপজেলা পরির্ষদ নির্বাচনসহ যে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করছে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ও কাশিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বলেন, মুজিবুল হক একজন ব্যক্তি নয় তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি চৌদ্দগ্রামে যে উন্নয়ন করেছেন তা সারা দেশে মডেল হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপরের চৌদ্দগ্রাম পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। চৌদ্দগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আসা করি বাকী অসমাপ্ত কাজগুলো সরকারের মেয়াদের মধ্যেই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।