Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে ছাত্রদলের প্রথম সভায় মারামারি ভাঙচুর

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : কমিটি ঘোষণার তিন মাস পর প্রথম সভাতেই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে উত্তর জেলা ছাত্রদলের নেতারা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নগরীর নুর আহমদ সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের দ্বিতীয় তলায় সংগঠনের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কার্যালয়ের চেয়ার ও জানালা। সংঘর্ষের পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ‘বিদ্রোহী গ্রæপের’ নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীরা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককেই ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে। গতকালের সভায় ২১ জন উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ১৩ অক্টোবর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ২৩ সদস্যের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির সভাপতি জাহেদুল আফসার জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি উত্তর জেলা বিএনপির আহŸায়ক আসলাম চৌধুরীর অনুসারী।
অন্যদিকে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আনসুর উদ্দিন ও তার পক্ষের নেতারা বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গতকালের ঘটনার বিষয়ে আনসুর উদ্দিন বলেন, তিন মাস আগে আমাদের কমিটি হলেও এতদিন কোনো সভা হয়নি। আমাদের কমিটির অধীনে সাতটি থানা এবং নয়টি পৌরসভা আছে। সংগঠনের এসব ইউনিটের কোনো কার্যক্রমও এতদিন নেয়া হয়নি। হঠাৎ করে কয়দিন আগে চিঠি দিয়ে ৫ জানুয়ারির মধ্যে সব থানায় কর্মী সমাবেশের নির্দেশ দেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক
আনসুর উদ্দিন বলেন, এই চিঠি কিসের ভিত্তিতে ইস্যু করা হয়েছে তা আমরা জানতে চাই। কোনো সদুত্তর না পেয়ে সভা বয়কট করে আমরা নেমে আসি।
এসময় ভবনের নিচে থাকা তৃণমূলের কর্মীরা সেøাগান দিচ্ছিল। তা দেখেই সাধারণ সম্পাদক জনি লাঠি নিয়ে নিচে নেমে আসে। এরপর উত্তেজিত কর্মীরা তাকে লাঞ্ছিত করে। সহ-সভাপতি একরামুল আজিম বলেন, তারা এতদিন কোনো কাজ করেনি। আজকে বর্ধিতসভা ডাকে। সভায় যখন প্রশ্ন করি, তখন জবাব না দিয়ে বলেÑ যা করছি তা কেন্দ্রের নির্দেশে করছি। এসময় জনি তেড়ে আসে। সে খুব খারাপ ব্যবহার করে এজন্য তাকে প্রতিহত করি। সাংগঠনিক সম্পাদক আনিস আখতার টিটু বলেন, উপস্থিত ২১ জনের মধ্যে ১৯ জনই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছে। অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের আমরা কার্যালয় থেকে বের করে দিয়েছি।
আনসুর উদ্দিনের দাবি তাদের সাথে কমিটির যুগ্ম সাধারণ রাসেল খান, সহ-সভাপতি এসএম আজিজ উল্লাহ, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম রাশেদসহ ১৯ জন আছেন। নাসিমন ভবনের নিচে মাঠে সমবেত দুইপক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে টিপু, সরওয়ার, তসলিম মনির, ফোরকান ইমরান, নুরুদ্দিন নামের পাঁচজন আহত হন বলে দাবি নেতাদের।
এদিকে সংঘর্ষের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি বলেন, বিদ্রোহী গ্রæপের ছেলেরা বহিরাগত এবং ছাত্রলীগের ছেলেপেলে নিয়ে কার্যালয়ে আসে।
আমরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এক সাথে কাজ করছি। বিদ্রোহীরা সাংগঠনিক নিয়ম মানছে না। তারাই হট্টগোল করেছে। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। বহিরাগতদের তাড়াতে গেলে লোহার গ্রিলের সাথে লেগে আমার শার্ট ছিড়েছে। আমাকে লাঞ্ছিত করার দাবি ঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, যারা সংগঠনবিরোধী কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবিলম্বে উপজেলা কমিটিগুলোও বিলুপ্ত করা হবে।
কমিটির ১৯ সদস্যই তাদের বিরুদ্ধে কিনা জানতে চাইলে জনি বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। অধিকাংশ সদস্য আমাদের সাথে আছে। জনির দাবি তাদের সাথে আছেন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকিবুল হাসান চৌধুরী ও ওমর ফারুক চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ওমর শরীফ, আজম উদ্দিন ও মোরশেদ হাজারী এবং সহ-সম্পাদক আবু সাঈদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ