পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র ভারতের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ রূপালী জগৎ মুম্বাইয়ের হিন্দী সিনেমা ডমিনেট (কর্তৃত্ব- চালকের আসনে) করছে হাতে গোনা কয়েকজন মুসলমান। ১৩০ কোটি মানুষের দেশের রেমিটেন্সের বড় অংশ ফোর খান (আমির খান, শাহরুখ খান, সালমান খান, সাইফ আলী খান) এনে ভারতের অর্থনীতিকে উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। মুসলিম শিল্পীদের চিন্তা-চেতনার ফসল দঙ্গল, সুলতান, ধুম-৩, পিকে, বজরঙ্গি ভাইজান ছবি হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। অথচ আমাদের ঢাকায় নাটক-সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী-কলাকুশিলীরা ‘প্রগতিশীল’ সার্টিফিকেটের দৌঁড়ে হয়রান হয়ে রেমিটেন্স দূরের কথা পেট বাঁচাতেই অস্থির। শিল্পমান সম্পন্ন নাটক-সিনেমার বদলে ইসলামবিদ্বেষী মানসিকতায় দর্শকদের কাতুকুতু দেয়াই তাদের এই দৈন্যদশা। অথচ হুমায়ূন আহমেদের অনেক ছবি-নাটক হয়েছে সুপারহিট। বর্তমানে ঢাকায় সংগীত-সিনেমা-নাট্য জগতে হাজার হাজার শিল্পী-কলাকুশলীর বিচরণ। এদের মগজে-মননে কতজন শিল্পীস্বত্তার অধিকারী? কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীর মেধা-প্রতিভা আল্লাহর দান। টাকার জোরে লেখক-শিল্পী-কবি হয়ে নাটক-সিনেমা-বই প্রকাশ করা যায়; সেগুলো মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে? আমির খানের হিন্দী ছবি ‘দঙ্গল’ মুক্তির ২০ দিনের মধ্যেই অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা আয় করেছে। বহিঃবিশ্বের আয়ের হিসেব ধরলে আয়ের অংক দাঁড়াবে পাহাড়সম। বাংলাদেশের ২৬ টিভি চ্যানেলে নাটক-সিরিয়াল এবং পুরো সিনেমা জগত মিলে বছরে কী এই পরিমাণ রোজগার করতে পারছে? যে নাটক-সিনেমা দর্শক টানেনা সেটা কী শিল্প? অথচ সাদামাটা গল্পের সিনেমা ‘দঙ্গল’ নিয়ে সারাবিশ্বে হচ্ছে হৈ চৈ।
৫০ পেরুনোর পর থেকে মাঝেমধ্যে নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছি। কিশোর-বালক বয়সের স্কুল-কলেজের স্মৃতিতে চলে যাই। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পায়ে হেটে ১০ মাইল দূরে গিয়ে কত ছবি দেখেছি! এখন ঢাকার ছবি দেখা দূরের কথা টিভির নাটক দেখার আগ্রহ হয় না। টিভি’র নিউজে দলবাজী ও কর্পোরেট সংস্কৃতি জেঁকে বসায় খবরও দেখি না। কলকাতার টিভির হিন্দুত্ববাদী নাটক-সিরিয়ালের অপসংস্কৃতিতে ঘরের মা-বোনের পাশপাশি বাপ-চাচাদের একটি অংশ আকৃষ্ট হওয়ায় মন ভারাক্রান্ত। কিন্তু মন বলে কথা! প্রবাদে আছে ‘যে গান-নাটক-সিনেমা পছন্দ করে না সে মানুষ খুন করতে পারে’। গভীর রাতে মাঝেমধ্যে মারদাঙ্গা হিন্দী ছবি দেখি। দেশের টিভি-সিনেমা জগতের শিল্পী-কলা-কুশলীদের বিদেশী সিরিয়াল বন্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর দেশের টিভিতে কয়েকটি নাটক-সিরিয়াল-সিনেমা দেখা হয়েছে। গল্পহীন নাটক সিনেমায় কাতুকুতু দিয়ে দর্শক হাসানোর ব্যর্থ চেষ্টা, অযাচিত প্রেম, মস্তানী, শয়তানী এবং অকারণে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ ‘রাজাকার’ শব্দজুড়ে দিয়ে ‘চেতনা’ধারী হওয়ার চেষ্টা আছে কিন্তু শিল্পমান নেই। এরই মধ্যে দেখা হলো আমির খানের হিন্দী ছবি দঙ্গল। মুক্তির ২০ দিনের মধ্যেই ছবিটি প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা আয় করেছে। বাংলাদেশের ২৬ টিভি এবং সিনেমা জগত মিলে বছরে এই পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারে না। সরকারি অনুদানে যেসব ছবি তৈরি হচ্ছে দেখলে মনে হয় সিনেমা নয় বস্তাপচা নাটক দেখছি। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা-নাটকে কী শ্যালোচালিত নৌকা যায়? ’৭১ সালে কি নৌকায় শ্যালোর ইঞ্জিন ছিল?
হিন্দী সিনেমার মহানায়ক আমির খানের সর্বশেষ ছবি ‘দঙ্গল’। হিন্দী শব্দ দঙ্গলের বাংলা অর্থ কুস্তির আখড়া। সাদামাটা দঙ্গল ছবির কাহিনী কাল্পনিক নয়; বাস্তব জীবনের। ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের হরিয়ানা রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম বালালী। সেই গ্রামের ছেলে মহাবীর সিংহ ফোগত কুস্তিগীর। জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও চাকরির কারণে বিদেশে আন্তর্জাতিক কোনো পদক পাননি। কিন্তু স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক আসর থেকে ‘পদক’ প্রাপ্তির। ছেলে তাঁর এই অপূর্ণ সাধ মেটাবে এমন স্বপ্ন দেখতেন; অথচ স্ত্রী পরপর চারটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। ভাগ্যকে যখন দোষারোপ করেন; তখনই একদিন ফোগত বাড়ি ফিরে দেখেন এক প্রতিবেশী বাড়িতে এসেছেন নালিশ জানাতে। সঙ্গে বিধ্বস্ত দুই পুত্র। ফোগতের দুই কন্যা গীতা ও ববিতার হাতে সমবয়সী ওই দুই ছেলে বেদম মার খেয়েছে। মেয়েদের অপরাধের জন্য ফোগত প্রতিবেশীর কাছে ক্ষমা চাইলেও তাঁর চিন্তার দরজা খুলে যায়। সিদ্ধান্ত নেন অপূর্ণ সাধ মেয়েদের দিয়েই পূর্ণ করবেন। গীতা ও ববিতাকে কুস্তি শেখাতে শুরু করেন। সাধনায় সফল হন ফোগত। ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ৫৫ কেজি বিভাগে মেয়েদের কুস্তিতে গীতা সোনা জেতেন। দ্বিতীয় কন্যা ববিতা ততদিনে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন। ফোগতের স্বপ্ন সার্থক হয়। চোখ মোছার মধ্য দিয়ে সিনেমা শেষ। পিতার স্বপ্নপূরণের এই সত্য কাহিনী নিয়ে নির্মিত দঙ্গল ছবির ফোগতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাকে ২০ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছে। মূলত আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজের নির্ভেজাল কাহিনীই দঙ্গলের গল্প। গ্রামের আর দশটা মেয়ের মতো ফোগতের মেয়ে গীতা-ববিতার ফুচকা, চুরমুর, টক, চাটনি, মিষ্টি-ঝালের প্রতি লোভ ছিল। বাপের কঠোর নিয়ম শৃংখলা। কুস্তিতে সফল হতে হলে নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাপ কুস্তি ছাড়া একদিনের জন্যও মেয়েদের তথা ‘নারীর মন’ বোঝার চেষ্টা করেননি। ছবিতে চরিত্রের মানসিকতা, ঘাত-প্রতিঘাত, টানা-পোড়েন, ঘটনার মোচড় ছিল। ছবির কাহিনী, ফটেগ্রাফী, অভিনয়ের চড়াই-উৎরাইয়ে বুঁদ হয়ে যায় দর্শক।
ঢাকায় এতোগুলো টিভি চ্যানেল থাকার পরও মা-খালারা কোলকাতার হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির বাহক নাটক-সিরিয়াল দেখছে। ঢাকার টিভিতে দেশী নাটক না দেখলেও দর্শকরা বিদেশী সিরিয়াল ঠিকই দেখছে। দেশে যখন এতো টিভি চ্যানেল ছিল না তখন বিটিভি’তে বিদেশি টিভি সিরিয়াল দারুণ জনপ্রিয় ছিল। ডালাস, ম্যাকাইভার, ডাইন্যাস্টি, এক্স ফাইল, চার্লিস এঞ্জেলস, ফলগাই, রুটস, সিনড্রেলা, মিষ্টারিয়াস আইল্যা-, হেলেন কিলার, ইবনে সিনা, হার কিউলিক্স, সিন্দাবাদ, টিপু সুলতান, ম্যাকগাইভার, রবিনহুড, আলিফ লায়লা, এক্সফাইলস নামের অনেকগুলো বিদেশি টিভি সিরিয়াল বিটিভিতে প্রদর্শন করা হয়। কিছু সিরিয়াল ডাবিং করা হলেও অনেকগুলোই প্রচার হয় ইংরেজি ভাষায়। নাটকের ভাষা ইংরেজি তবুও দর্শক ছিল প্রচুর। শুধু ঢাকা শহরে নয়; গ্রামাঞ্চলেও এই সব টিভি সিরিয়ালের দর্শক ছিল ব্যাপক। ইংরেজি ভাষা না বোঝলেও টিভি সিরিয়ালগুলোর নির্মাণ শৈলী বিশেষ করে পারিবারিক কাহিনীই ছিল দর্শকদের আগ্রহের মূল বিষয়। বিটিভিতে সপ্তাহে একবার প্রচার করা হতো। তা দেখার জন্য দর্শকরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতেন। রাতে যখন বিটিভিতে টিভি সিরিয়ালগুলো চলতো তখন শহরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যেত। বর্তমানে ঢাকার কয়েকটি চ্যানেলে প্রচারিত মুসলিম রেনেসাঁস, ইসলামী ইতিহাস, মুসলমান শাসকদের কিচ্ছাকাহিনী নিয়ে নির্মিত সিরিয়ালগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আমাদের নাটক সিনেমার নায়ক-নায়িকা-শিল্পী-কলা-কুশলীরা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে দর্শকের চাহিদা বিবেচনা করে নাটক সিনেমা করলে রুটি রুজির জন্য পথে নামার প্রয়োজন পড়ে না। সাংস্কৃতির আগ্রাসনে মগজ ধোলাই হওয়ায় তারা সে পথে না হেটে নিজেদের মতো চলছে। ভারতের মতো দেশে কয়েকজন মুসলমান শিল্পী যেভাবে হিন্দী সিনেমাকে শাসন করছে তাতে বোঝা যায় শিল্প সংস্কৃতিতে মেধা কোনো ধর্মগত বিষয় নয়। নিজস্ব সংস্কৃতি-ধর্ম এবং চিন্তা সমাজের মানুষের চিন্তা নিয়ে নাটক সিনেমা তৈরি হলে দর্শক সেটা গ্রহণ করে। আমির-শাহরুখ-সালমানরা সেটা দেখিয়ে দিচ্ছেন। হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে যেখানে আরএসএসের মতো সংগঠনের ভাবশীর্ষ বিজেপি ক্ষমতায় তখন মুসলমান ছেলেরাই মুম্বাইয়ের হিন্দী সিনেমার নের্তৃত্ব দিচ্ছেন। এ আর রহমানের গান কী গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে না? তাদের তো নাটক-সিনেমা বানাতে বা রুটি রুজির জন্য ইসলামবিদ্বেষী হতে হয়নি। আমাদের হতে হবে কেন? বাংলাদেশেও এক সময় ভাল নাটক-সিরিয়াল-সিনেমা তৈরি হয়েছে। বাকের ভাইয়ের কথা মনে আছে? আজকের সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর হলেন টিভি দর্শকদের কাছে বাকের ভাই। বিটিভিতে প্রচারিত হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের শেষ পর্বে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি। বাকের ভাইকে ফাঁসি না দেয়ার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন হয়। যে মহিলা চরিত্রের কারণে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি দেয়া হয়; সেই অভিনেত্রীর গাড়িতে উত্তেজিত জনতা হামলা করে। বাংলা নাটক জনপ্রিয় হলে দর্শকদের কী অবস্থা হয় এ ঘটনাই তার প্রমাণ। সংসপ্তক, অয়ময়, তথাপি, নক্ষত্রের রাত, রূপনগর, আজ রোববার সিরিয়ালগুলো কী দর্শকপ্রিয়তা পায়নি? যারা নাটকে অভিনয় করেন তাদের নিয়ে সম্প্রতি সময়ে নির্মিত ‘আয়নাবাজি’, ‘টেলিভিশন’ কী উৎফুল্ল দর্শক দলবেঁধে সিনেমা হলে গিয়ে দেখেনি? তা হলে কেন জি বাংলার মীরাক্কেল নকল করে এনটিভিতে ‘হা-শো’ এবং ‘দিদি নাম্বার ১’ নকল করে গাজী টিভিতে ‘আজকের অনন্যা’ প্রচার করতে হবে? হিন্দি সিনেমার ক্যাটরিনা কাইফ-অক্ষয় কুমারের ‘দে দানা দান’ ছবির বৃষ্টির গানের সুর হুবহু নকল করে ঢাকায় ‘মিলন-মম’কে দিয়ে গান বানিয়ে প্রচার করতে হবে?
নাটক-সিনেমার অভিনয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রখ্যাত রুশ নাট্যব্যক্তিত্ব স্তানিসেøাভস্কি বলেছেন, তুমি যে চরিত্রে অভিনয় করবে, তার আগে দেখো তোমার নিজের চরিত্র থেকে ওই চরিত্রের দূরত্ব কতটুকু। তারপর নেমে পড়ো সেই দূরত্ব ঘোচাতে। নিজের চরিত্র ও অভিনয় চরিত্রের সেই দূরত্ব ঘোচানো দূরহ পরিশ্রমের কাজ। চাই ধ্যান, গবেষণা, হাঁড়ভাঙ্গা খাটুনি।’ অমির খান, সালমান খান, শাহরুখ খানেরা সেটা করেন। দঙ্গল ছবি নিয়ে গবেষণা কাজে দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন আমির খান। চরিত্রের প্রয়োজনে তাকে ২০ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছে। ওই চরিত্রের জন্য আমির খান নিজেকে ঘষে-মেজে প্রস্তুত করছেন দিনের পর দিন। তারপর দঙ্গলে হয়ে উঠেছেন মূর্তিমান কবিতার মতো শিল্পী। চরিত্র যেন তার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। আসলে অভিনয় আসে ধমনির লোহিত কণিকা থেকে। আবার কিছু কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর রক্তের লহিত কণিকার ভিতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা খুঁড়ে বের করে আনেন অনেক পরিচালক-নির্দেশক। আমরা যদি দেশের হুমায়ূন ফরিদী, গোলাম মোস্তফা, আরিফুল হক, ইরানের অভিনেতা সাহাব হোসাইন, হলিউডের নায়িকা মেরিল স্ট্রিপ, নায়ক ডাস্টিন হফম্যান, চিনের অভিনেত্রী গংলি, ভারতের খানদ্বয়কে দেখি তাহলে দেখবো তারা অভিনয় জীবন চর্চায় নিজেকে গড়ে তুলেছেন বৃষ্টির পানির মতো স্বচ্ছ। পানির গ্রাসের রং ধারনের মতো যে চরিত্রে অভিনয় করেন তার সঙ্গে মিশে যান। আমাদের ঢাকাই সিনেমা এবং টিভি নাটকের নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে তাদের অভিনীত চরিত্রের দূরত্বের ফরাক প্রায়শই মনে হয় যোজন যোজন মাইল দূরে। ঢাকা থেকে প্রচারিত প্রায় ২০টি টিভিতে প্রতিদিন শতাধিক নাটক-ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে। এগুলো কী শিল্পমান সম্পন্ন? না আছে গল্প, না আছে বক্তব্য, না আছে শিল্পমান। একটা কিছু লিখলেই টাকার জোরে তিনি হয়ে যাচ্ছেন নাটক লেখক-নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রী। ঢাকার সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের অভিষেক ঘটার দুই বছর না পেরুতেই হয়ে পড়েন মেদভুিরর মাংসপি-। টিভিগুলোতে প্রতিরাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ‘লাইফ’ গানের অনুষ্ঠান হয়। কয়টা অনুষ্ঠান দর্শক দেখেন? অনেক চ্যানেল পুরনো দিনের শিল্পীদের গান নতুন শিল্পীদের কণ্ঠে প্রচার করেছে। এই শিল্পীরা কী পুরনো দিনের গানগুলো সুর-তাল-লয় ঠিক রাখতে পারছেন? পুরনো দিনের জনপ্রিয় গানগুলো কী এই প্রজন্মের তথাকথিত শিল্পীদের কণ্ঠে ‘ধর্ষিত’ হচ্ছে না? অতএব, আমির খানদের কর্মের দিকে তাকিয়ে আমাদের নাটক- সিনেমার শিল্পী-কুশলীদের দর্শক গ্রহণ করবে তেমন কাজে হাত দেয়া উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।