পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের সরকার বলছে, তারা ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করছে। ইরাকি সেনাবাহিনী বলছে, সিরীয়ার সীমান্তের কাছে কিছু শহরকে ইসলামিক স্টেটের কবল থেকে উদ্ধারের লক্ষ্যে তারা অভিযান শুরু করেছে। সেনাবাহিনীর সাথে যোগ দিয়েছে স্থানীয় উপজাতীয় যোদ্ধারা। বলা হচ্ছে, আমেরিকার নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনীও অভিযানে সাহায্য করবে।
সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, যৌথবাহিনীর অভিযানের মূল লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে ফোরাত নদীর তীর বরাবর আনা, রাওয়া আর আল-কাইম শহরগুলো। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনী উত্তরে মসুল শহরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে। এখন এই নতুন অভিযান চালানোর মধ্যে দিয়ে ইরাকি সরকার দেশের পশ্চিমাঞ্চলেও একটা নতুন রণাঙ্গণে যুদ্ধ শুরু করল। গত বছর ইরাকি সরকারিবাহিনী রামাদি আর ফালুজা শহরসহ আনবার প্রদেশের বেশিরভাগ এলাকা থেকে ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের হটিয়ে দিয়েছিল। এখন ইরাকি সরকারের লক্ষ্য ফোরাতের তীরবর্তী এই শহরগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। এই আনা, রাওয়া আর আল-কাইম শহরগুলো সিরীয়া সীমান্তগামী মহাসড়কের উপর। উত্তরে মসুল দখলের লড়াইয়েও ইরাকি বাহিনীতে বিদেশী সামরিক উপদেষ্টার সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই শহর দখলে ইরাকি বাহিনীকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য মিত্র দেশগুলোর ৪৫০ জন সামরিক উপদেষ্টা। অক্টোবরে মসুলে সেনা অভিযান শুরু হবার সময় ধারণা করা হয়েছিল মসুল থেকে তথাকথিত আইএস জঙ্গিদের নতুন বছর শুরুর আগেই হঠানো সম্ভব হবে। কিন্তু ঐ লড়াইয়ে ডিসেম্বরের পর সেভাবে অগ্রগতি হয়নি। ইরাকিবাহিনীতে সেখানে প্রচুর প্রাণহানি হয়েছে। এরপর এখন আরও তিনটি শহর আইএসমুক্ত করতে নতুন রণাঙ্গণে যুদ্ধে নামল ইরাকি সৈন্যরা। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।