মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর গতকাল মমতার নির্দেশে মোদি-বিরোধী আন্দোলন পৌঁছে গেল রাজধানী দিল্লির রাজপথে। প্রধানমন্ত্রী মোদির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে প্রবল ধাক্কাধাক্কির মধ্যেই সৌগত রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, মুকুল রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা গলা ফাটালেন মোদি হঠাও-দেশ বাঁচাও স্লোগানে। পুলিশ তৃণমূলের ৩৪ জন সংসদ সদস্যকেই আটক করে তুঘলক রোড থানায় নিয়ে যায়। গাড়িতে তোলার সময় পুলিশের হাতে মারও খান কয়েকজন সংসদ সদস্য। থানা চত্বরে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের নেতারা। আটক থাকা অবস্থাতেই দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা স্লোগান তোলেন, মমতা সে জো টকরায়ে গা, উয়ো চুর চুর হো জায়েগা’। থানার চাতালে বসে ধরনা এবং স্লোগান চালিয়ে যান সাংসদেরা। গণসঙ্গীতের লিরিকে ‘মোদি যাও’ ‘অমিত শাহ যাও’ জুড়ি নিয়ে গাইতে থাকেন দোলা। গেটের ওপার থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চিৎকার করে বলতে থাকেন, সঞ্জীব যাদব নামের এক অফিসার আমাদের গাড়িতে তোলার সময় মেরেছে। সৌগতদা ও আমার কাঁধে জোরে আঘাত করেছে। থানার ভেতরে বিজেপির কিছু নেতা বসে রয়েছেন। দলের মুখপাত্র ডেরেকেরও দাবি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের হাতে মার খেয়েছেন।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ হোক’ অথবা ‘জরুরি অবস্থা বন্ধ হোক’ এমন পোস্টারই নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরাসরি কোনও স্লোগানও দেননি তারা। সিবিআইয়ের নামও করা হয়নি। পাছে এই বার্তা যায় যে, দুর্নীতির প্রশ্নে ভয় পেয়েই তৃণমূল আন্দোলন করছে। গোটা বিষয়টিকে তৃণমূল তাই মোদি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিবাদ হিসেবেই তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়েছে একাট্টা হয়ে। থানায় এক পুলিশ অফিসার জানতে চান, আটক করে আনা এই ৩৪ জনের মধ্যে ক’জন সংসদ সদস্য। ডেরেক জবাব দেন, সকলেই। এ দিন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক-বাজেট বৈঠক ছিল। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সেখান থেকে ওয়াকআউট করেন। তার বক্তব্য, দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে। তার মধ্যে এসব বৈঠক অর্থহীন। খোদ দিল্লিতে এসে মমতা বাহিনীর এই আক্রমণে স্পষ্টতই কিছুটা দিশাহারা বিজেপি নেতৃত্ব। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছিল, দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদেরা বিক্ষোভ করলে পাল্টা প্রতি আক্রমণে যাওয়া হবে। কাল রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা বলে গতকাল দুপুরে দিল্লিতে চলে যান রাজ্যের বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ। পরিকল্পনা ছিল, সাউথ এভিনিউয়ে ডেরেক, অভিষেক, মুকুল তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বাড়ির সামনে উগ্র বিক্ষোভ দেখানোর। পুলিশও পৌঁছে যায় সেখানে কিন্তু পরে এই রণকৌশল বদলানোর জন্য নির্দেশ আসে মোদি ও অমিত শাহদের কাছ থেকে। বিজেপি শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য, মমতার বিরুদ্ধে এ বিষয়টি নিয়ে শঠে শাঠ্যং রাজনীতি করলে তাতে তৃণমূলেরই সুবিধা হবে। তাদের আন্দোলনকে কার্যত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।