পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিল্লিকে খুশি রাখতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিই বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্যের সাহস যোগায় ওদের, সীমান্ত হত্যকান্ড ঘটে : ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী ষ বাংলাদেশের কারণে ভারতের উত্তর-পূর্ব ৭ রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে : স্বাধীনতাকামীদের আন্দোলন বন্ধ হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে; তারই প্রতিদান বিজেপি নেতার!
‘কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না’ প্রবাদের মতোই ঘটনা। কয়লা যতই ধোয়া হোক না কেন ময়লা বের হওয়া বন্ধ হবে না; তেমনি ভারতকে সব সুবিধা দিয়ে উপকার করলেও বাংলাদেশের প্রতি দেশটির আগ্রাসী নীতি বন্ধ হবে না। ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক’, ‘রক্তের বন্ধন’ ‘দুই দেশের বন্ধুত্ব বিশ্বে রোল মডেল’ দাবি করা হলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী দেশটির ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। বাংলাদেশের কারণে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭ রাজ্যের স্বাধীনতাকামীরা রণেভঙ্গ দিয়েছে। খন্ড-বিখন্ড হওয়া থেকে রক্ষা পেয়ে অখন্ডতা ধরে রেখেছে। তারপরও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীদের একের পর এক বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য ও ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। নেপালের মতো দেশ মোদির ভারতের আগ্রাসী নীতির দাঁতভাঙা জবাব দিলেও ওই দেশটির ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অপমানকে নীরবে হজম করছে বাংলাদেশ! তবে দেশের নীতিনির্ধারকরা দিল্লির অনুকম্পায় ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার মানসিকতা থেকে ‘নীরব’ থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করে থাকে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন (৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর) ভারত সফর করছেন; তখনই ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দেশটির আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। বিজেপির এই নেতা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশকে একত্রিত করে নেয়ার কথা বলেছেন। এর আগেও তিনি সে রাজ্যে বসবাসরত মুসলমান নাগরিকদের বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়ার হুঙ্কার দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন, তখন খবর আসে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিজেপি দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে, দু’জন এখনো নিখোঁজ। প্রতিবেশী দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বন্ধুত্বের সম্পর্ক যখন প্রচার করা হচ্ছে তখন সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশি হত্যা ও একজন মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশকে একীভূত করার’ প্রস্তাব কি বার্তা দিচ্ছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী ও বুদ্ধিজীবীদের কেউ ‘রক্তের সম্পর্ক’ কেউ ‘স্বাম-স্ত্রীর সম্পর্ক’ কেউ ‘ভাতৃত্বের সম্পর্ক’ কেউ ‘জন্মগত সম্পর্ক’ ইত্যাদি অভিসিক্ত করে থাকেন। অথচ ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতারা একের পর এক বাংলাদেশ ও মুসলমানদের নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন; তখন আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার ‘বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়ার বক্তব্য’ কি বার্তা দিচ্ছে? স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নিয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করার পর হেমন্ত শর্মা ক্ষমা চাননি; বিজেপি থেকে তাকে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা বাংলাদেশের কাছে কূটনৈতিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন। কেউ কেউ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, বর্তমান সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারতের বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীরা একের পর এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছে। কারণ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও মোদির অনুসারীরা মনে করেন তারা আওয়ামী লীগকে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এনেছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিনা ভোটে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। যার কারণে সরকারের দায়িত্বশীলরা বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। সে জন্যই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত হত্যা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করছে না।
৪ দিনের দিল্লি সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। অতঃপর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনেক উচ্চতায় গেছে। ভারত সবসময়ই বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়। বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এবং চতুর্থ রফতানির দেশ। তাই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা সবসময়ই চায় ভারত।’ অন্যদিকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হাজার হাজার ভারতীয় নাগরিক এখন বাংলাদেশে কাজ করছেন। তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক ক‚টনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পর্যটক ও চিকিৎসার জন্য রোগী আসেন।’ এর আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করে দেশে ফিরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা সারা জীবন মনে রাখবে।’ যে ভারতকে বাংলাদেশ এত কিছু দিচ্ছে অথচ সেই ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলছেন! বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। সে দেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অবাক করার বিষয় হলো আসামের মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরও দেশের রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ প্রতিবাদের বদলে নীরবতা পালন করছেন। বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকদের এই নীরবতা রহস্যজনক। এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নিশ্চুপ! এখন পর্যন্ত ঢাকায় কর্মরত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়নি। এমনকি গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো বা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়নি। অথচ গত সপ্তাহে মিয়ানমারের মর্টার শেল বাংলাদেশের মাটিতে পড়াসহ একাধিক কারণে ঢাকায় কর্মরত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে সতর্ক করে দেয়ার পাশাপাশি তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন আসে ভারতের বিজেপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করার সাহস কি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবীদের নেই?
বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও ভৌগোলিকভাবে অবস্থানগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সহায়তা ছাড়া ভারতের পক্ষে তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭ রাজ্যকে ধরে রাখা কঠিন ছিল। যুগের পর যুগ ধরে ওই সব রাজ্যের স্বাধীনতাকামীরা স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছে। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশ তাদের প্রশ্রয় না দেয়ায় ওই স্বাধীনতাকামীরা থেমে গেছে। তাছাড়া বাংলাদেশের ভেতরে সড়ক-নৌ-রেল ট্রানজিট ও সব ধরনের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ ছাড়াও অবাধে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছে। এর প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্যে। গত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রামের জন্মাষ্টমীর যে অনুষ্ঠানে ড. এ কে আব্দুল মোমেন ‘ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে যা যা করা প্রয়োজন তার সবই করতে হবে’ বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন; সে সময় তিনি জানান যে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। ড. মোমেন বলেন, আমি আসাম রাজ্যে যাওয়ার পর সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা আমাকে বলেছিল, বাংলাদেশের সহায়তার কারণে ভারত এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ভালো করছে। সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ হওয়ায় ৭ রাজ্যে শাস্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ওই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমি বলেছি, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাংলাদেশে ভারতের লাখ লাখ নাগরিক কাজ করে। বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় না দেয়ায় সীমান্ত প্রহরায় ভারতের খরচ কমে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
যে বাংলাদেশের কারণে ভারত ও আসাম রাজ্য এত উপকৃত হয়েছে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ নিয়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য হজম করতে হবে?
হিমান্ত বিশ্ব শর্মা মুখ ফসকে এমন বক্তব্য দিয়েছেন মনে করার কারণ নেই। এর আগেও তিনি আসামের মুসলমানদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাছাড়া হিমান্ত শর্মা বিজেপির নেতা। আর বিজেপির অভিভাবক ও মতাদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস)। হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনটি জন্মলগ্ন থেকেই তথাকথিত ‘অখÐ ভারত’ প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এই ‘অখÐ ভারতের’ মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, আফগানিস্তান, তিব্বত ও মিয়ানমারকেও। আরএসএসের এই অখÐ ভারতনীতির প্রতিবাদ করছেন সে দেশের কংগ্রেসসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। দেশটির বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজের বৃহৎ অংশ আরএসএসের ‘অখÐ ভারত’ স্বপ্নকে সবার জন্য হুমকি হিসেবে অবিহিত করছেন।
এদিকে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাকাÐ চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গতকাল দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ’র গুলিতে মিনহাজ (১৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরো দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত মিনহাজ দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯ নং আস্করপুর ইউনিয়নের খানপুর ভিতরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। নিখোঁজ দুই যুবক হলেনÑ একই ইউনিয়নের খানপুর খুদিহারা গ্রামের লতিফুল ইসলামের ছেলে এমতাজুল (৩০) ও একই ইউনিয়নের ভিতরপাড়া গ্রামের সালমানের ছেলে সাগর (২০)। কেউ কেউ বলছেন, তারা দু’জন গুলিবিদ্ধ হওয়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সীমান্তে বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছিলেন যে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে মোট ২৯৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। ২০০৯ সালে ৬৬ জন, ২০১০ সালে ৫৫ জন, ২০১১ ও ২০১২ সালে ২৪ জন করে, ২০১৩ সালে ১৮ জন, ২০১৪ সালে ২৪ জন, ২০১৫ সালে ৩৮ জন, ২০১৬ সালে ২৫ জন, ২০১৭ সালে ১৭ জন এবং ২০১৮ সালে মাত্র ৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের প্রতি বছর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেসব সম্মেলনে সীমান্তে হত্যাকাÐ ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণের অঙ্গীকার করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কিন্তু সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ভারত শক্তের ভক্ত নরমের জম। পাকিস্তান, চীন সীমান্তে ওরা গুলি ছোড়ার সাহস দেখায় না। ভারতীয়রা একজন মারলে অন্যরা দুইজন মারে। এমনকি মিয়ানমার ও নেপাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা মানুষ হত্যার সাহস দেখায় না। কিন্তু ব্যতিক্রম বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। কারণ দিল্লি মনে করে ওরাই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু বললে বা সীমান্তে মানুষ হত্যা করলে প্রতিবাদ করার সাহস দেখাবে না। সে কারণে এসব ঘটেই চলছে। তবে এটা ঠিক, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের এই আগ্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।