Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম বোর্ড জেএসসিতে সাত বছরে সর্বোচ্চ ভাল ফল

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় এবছর পাস করেছে ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত সাত বছরে সর্বোচ্চ পাসের হার বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। গতকাল চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫২৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ জন। যা গতবছর ছিল ১২ হাজার ২৬৮ জন।
জেএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের এটি সর্বোচ্চ পাসের হার বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান। ইংরেজি ও অংকে এ বছর অন্যান্যবারের তুলনায় বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করায় পাসের হার ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাহবুব হাসান জানান, এবছর ইংরেজি প্রথমপত্রে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ যা গত বছর ছিল ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে এবছর পাসের হার ৯১ দশমিক ৭৪ যা গতবছর ছিল ৯০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অংকে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৫ শতাংশ যা গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই হাজার জন। এবছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ জন যা গতবছর ছিল ১২ হাজার ২৬৮ জন। চট্টগ্রাম মহানগরের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলেও বেড়েছে পাসের হার। ফলাফল ঘোষণার সময় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. আব্দুল মুবিদ বলেন, তিন পার্বত্য জেলার ফলাফলের প্রভাব পড়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সার্বিক পাসের হারে।
দুর্গম তিন জেলার কারণে অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কম থাকে। তবে এবছর তিনি পার্বত্য জেলায়ও পাসের হার বেড়েছে অন্যান্যবারের তুলনায় পাঁচ থেকে সাত শতাংশ।
এবছর রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৩২ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮১ শতাংশ। বান্দরবান জেলায় ৮৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও খাগড়াছড়ি জেলায় ৮৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। যেখানে গতবছর ছিল যথাক্রমে ৭৭ দশমিক ৯৮ ও ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হিসেবে গত বছরের মতো এবছরও শীর্ষে আছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয়, খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজিয়েট হাই স্কুল। বাওয়া স্কুল থেকে ৪৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬৭ জন। ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৩০ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২১ জন। কলেজিয়েট স্কুলে ৩২৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০০ জন।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী স্কুলে ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০০জন, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৯০ জন ও সরকারি মুসলিম হাই স্কুলে ২৮৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ