Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে বাংলাদেশি নারী টুম্পা হত্যা মামলার মূল আসামি সহ গ্রেপ্তার ৩

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:১৯ পিএম

ভারতে বাংলাদেশি নারী টুম্পা হত্যাকান্ডের মূল আসামি ও পাচারকারী চক্রের দু’সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ৬। শুক্রবার তাদের খুলনা ও যশোরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হল, আলী হোসেন, মো: আল আমিন ও কুলসুম বেগম।
আজ শনিবার র‌্যাব ৬ এর পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, টুম্পা বাবা-মায়ের সাথে ঢাকার ডেমরা এলাকার একটি বাসায় বসবাস করত। আসামিরা তাকে টিকটক সেলিব্রেটি ও বিদেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে। পাচারকারী চক্রের সদস্য বৃষ্টি এবং নবারের পরিকল্পনায় তাকে ঢাকা থেকে খুলনায় আনা হয়। খুলনায় বৃষ্টির মায়ের বাড়িতে তিনদিন তাকে রাখা হয়। এরপর বৃষ্টি ও নবাবের নির্দেশে মানবপাচার চক্রের সাহায্যে তাকে যশোর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত পাচার করা হয়। ভারতের একটি বাসায় রেখে তার এনআইডি ও আধার কার্ড তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করানো হত এবং জোর পূর্বক আলী হোসেনের সাথে টিকটক ভিডিও বানানো হত। এমনকি তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত তারা। পাচারকারী চক্রের সকল গোপন তথ্য টুম্পা জেনে গিয়েছিল। তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেশে আসার চেষ্টা করে টুম্পা। আলী হোসেন ঘটনাটি জেনে ফেলে। টুম্পার বিষয়টি নবাব ও বৃষ্টিকে জানায় আলী হোসেন। তখন তারা দু’জন টুম্পাকে হত্যার নির্দেশ দেয় আলী হোসেনকে। যেন তাদের গোপন তথ্য কোথাও ফাঁস না হয়।
২৬ জানুয়ারি গুজরাটের পুলিশ নিহত টুম্পার বাবাকে ফোন করে জানায় তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি নম্বর থেকে জানানো হয় আলী হোসেন তার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় টুম্পার বাবা র‌্যাব-৬ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর থেকেই র‌্যাব আসামীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার র‌্যাব ৬ স্পেশাল কোম্পানী ও যশোর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল যশোর ও খুলনায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী আলী হোসেন, পাচারকারী চক্রের সদস্য মো: আল আমিন ও কুলসুম বেগমকে গেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঢাকার ডেমরা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেপ্তার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ