মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করার জন্য ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশে গেলেন বাইডেন? প্রকাশ্যে এসেছে গোটা ঘটনা।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইউক্রেনে গিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করে এসেছিলেন বরিস জনসন। এবার সেই একই কাজ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত প্রায় এক বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরই মাঝে ঘরোয়া রাজনীতিতেও চাপের মুখে আমেরিকা।
গতবছর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় বিশ্বমঞ্চে 'মুখ পুড়েছে' আমেরিকার। এই সব বিষয়কে পেছনে ফেলে ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিতে এবং নিজের ভাবমূর্তি ঠিক করতে কিয়েভে পা রাখেন জো বাইডেন। তবে রাশিয়াসহ সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে এই কাজটা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ভোর ৪টা নাগাদ সবার নজর এড়িয়ে আমেরিকার বিমানবাহিনীর একটি বোয়িং ৭৫৭ বিমানে (সি-৩২ নামেও পরিচিত এই বিমান) চড়ে ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা দেন বাইডেন। তার সাথে ছিলেন কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী, চিকিৎসকদের একটি ছোট দল। তাছাড়া কয়েকজন উপদেষ্টা এবং দু’জন সাংবাদিকও সাথে ছিলেন তার।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সফরের সময় সাধারণত বাইডেন যেখান থেকে বিমানে ওঠেন, সেখানে ছিল না এই সি-৩২। তার বেশ কিছুটা দূরে এই বিমান রাখা ছিল। এই আবহে সংবাদমাধ্যমকে ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠতে সক্ষম হন বাইডেন।
উল্লেখ্য, সাধারণত বাইডেনের বিদেশ সফরকালে ১৩ জন সাংবাদিকের একটি দল সাথে যান তার। তবে একজন ফটোগ্রাফার এবং একজন সাংবাদিককে সাথে নিয়েই ইউক্রেনে গিয়েছিলেন বাইডেন।
বাইডেনের সাথে ইউক্রেন সফরে থাকা সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এক ফটোগ্রাফারকে সাথে নিয়ে আসতে বলে রাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাকে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস পরে তাদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে। জানিয়ে দেয়া হয়, প্রেসিডেন্ট যতক্ষণ না ফিরে আসছেন, ততক্ষণ তারা ফোন পাবেন না।
প্রথমে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ওয়াশিংটন থেকে জার্মানির রামস্টেইনে নিয়ে যায় বিমানটি। সেখান থেকে প্রসিডেন্টকে নিয়ে যাওয়া হয় পোল্যান্ডের রজেসজো-জাসিওনকা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে একটি একালো কাচে ঢাকা সএইভি গাড়িতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ১০ ঘণ্টার সফর শেষে ইউক্রেনে পৌঁছান বাইডেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।