বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আখাউড়া উপজেলা সংবাদদাতা : অবশেষে শিশুটি আসল মায়ের কোলে ফিরেছে। ওই শিশুটিকে দুই নারী নিজেদের সন্তান দাবি করে গত সোমবার রাতে টানা হেচড়া করে আখাউড়া রেলস্টেশনে। এ বিষয়টি তাৎক্ষণিক নজরে আসে উপস্থিত পুলিশ, সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজনের। পরে অবশ্য ডাক্তারি পরীক্ষা হয় শিশু ও মায়েদের। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিষয়টির ফয়সাল হয়। প্রতারণার দায়ে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ আটক করা ভূয়া মা’ কেও এর সাথে জড়িত এক পুরুষকেও। টানাহেচড়ার কারেণ শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির সাথে রয়েছেন তার আসল মা সাহারা বেগম।
জানা গেছে, শিশুটি নিজেদের দাবি করে দুই নারী গত সোমবার দুপুর থেকে টনাহেচড়া শুরু করে। এক নারীর কাছে থাকা শিশুকে নিজের সন্তান দাবি করে নিয়ে যেতে চায় আরেক নারী। রাতে বিষয়টি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে ওই দুই নারীকে রেলস্টেশনের পুলিশের একটি কক্ষে নিয়ে তাদের কথা শুনে পুলিশ, সাংবাদিক ও উপস্থিত লোকজন। দুই নারীর কথা শুনে সবাই বিপাকে পড়ে যায়। শিশুটির আসল মা কে তা জানার জন্য ওই দুই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে শিশুটির আসল মা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. শাহ আলম জানান, শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে কমপক্ষে এক মাস আগেই তার জন্ম হয়েছে। আর যে নারী শিশুটি নিয়ে যেতে চাইছে সে গত এক বছরেও কোনো সন্তান জন্ম দেননি।
আরও জানা যায়, শিশুটির আসল মা দেখতে পাগলী। সে ভিক্ষাবৃত্তি করে আখাউড়া রেলস্টেশনে শিশুটি নিয়ে রাত যাপন করে। পাগলী সাহারা বেগম জানান, প্রায় দেড় মাসে আগে সে সন্তান প্রসব করে। সে অভিযোগ করে সোমবার থেকে অন্য নারী তার কোলে থাকা শিশুটিকে কেড়ে নিতে চাইছে।
অন্যদিকে আটককৃত সাজেদা জানান, গত ২ দিন আগে সে সন্তানটি প্রসব করে। গত রোববার গভীর রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ট্রেনে উঠে আসার সময় তার শিশু চুরি হয়। যে তার শিশুসন্তানটি চুরি করেছে সে দেখতে পাগলীর মতো।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুস ছাত্তার বলেন, পাগলীই শিশুটির আসল মা। শিশুটিকে তার আসল মায়ের কোলেই দেয়া হয়েছে। সাজেদা নামের যে নারী প্রতারণা করে শিশুটিকে নিয়ে যেতে চাইছিল তাকে ও তার স্বামী মাসুদুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।