গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে জনগণের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ১২ দলীয় জোট। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন সড়কে "গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে" এক বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের নেতারা একথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলেমা ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ ১২ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বাকশাল গঠন করে একদলীয় স্বৈরশাসন চালু করা হয়। এটি ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম একটি কালাকানুন চাপিয়ে দেওয়ার ভয়াবহ দিন। সংসদীয় গণতন্ত্র হত্যা করে প্রেসিডেন্সিয়াল গভর্নমেন্ট চালু করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বিনা ভোটে সারাজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট থাকার আইন পাশ করেন। প্রায় ৫ দশক পরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর দমন-পীড়ন হামলা, মামলা, খুন, গুমের মতো নিষ্ঠুর আচরণ শুরু করেছে। কৌশলগত কারণে পিতার মতো একদল ঘোষণা না দিয়ে মাঠপর্যায়ে বিরোধী দলের ওপর দমন পীড়ন অব্যাহত রেখেছে।
তারা বলেন, এদেশের মানুষ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এই ভোট চোর সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে, অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।