গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারা নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্যের জবাবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ক্ষমতাসীনরা এখন বলছেন- বেগম জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। আমরা বলব, খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতি কেন, নির্বাচনও করবেন এবং তিনি আগামীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীও হবেন।
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। পরে পদযাত্রা শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায় এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে এই পদযাত্রা ও সমাবেশ হয়।
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সরকারের দুঃশাসনে দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতিতে মানুষ আজ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে তাদের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। তারা ব্যস্ত দুর্নীতি ও লুটপাটে। লুটপাটের মাধ্যমে দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এসব টাকা ফেরত আনতে হবে, দুর্নীতির বিচার করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, সরকার আবারো ২০১৮ সালের মতো একটি প্রহসনের নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। সরকারকে বলবো, ওই ধরনের নির্বাচন করার স্বপ্ন ভুলে যান। দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না, জনগণ এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।
সরকারের উদ্দেশে ড. ফরহাদ বলেন, এখনো সময় আছে। জনগণের দাবি মেনে অবিলম্বে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
ড. ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। তারা এই মুহূর্তে সরকারের বিদায় চায়। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এদের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
এম এন শাওন সাদেকী বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারকে বিদায় করে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এনপিপির যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ তোতা মিয়া, জাগপার সাইফুল আলম, আওলাদ হোসেন শিল্পী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি : ১০ দফা দাবি আদায় এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ১১ মার্চ সারাদেশের মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। সমাবেশ থেকে জোটের সমন্বয়ক ড. ফরহাদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এটি হবে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের দশম কর্মসূচি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।