গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
কতিপয় বেঈমান নাস্তিক-মুরতাদ মুসলমানদের ঈমান-আক্বিদা ধ্বংসের জন্য শিক্ষা সিলেবাসে ডারঊইনের মতবাদ চালু এবং ইসলামী শিক্ষাকে সঙ্কোচিত করেছে। ওই নাস্তিকরা বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি বলে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করে আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা প্রণয়নকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক ফাঁসি দিতে হবে। মানবতাবিরোধীদের ফাঁসি হলে আল্লাহ বিরোধী শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নকারীদের ফাঁসি হবে না কেন ? আল্লাহ ইসলামকে পুর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে পাঠিয়েছেন। ইসলামী জীবন বিধানের ওপর আঘাত করার ক্ষমতা কাউকে দেয়া হয়নি। পবিত্র কোরআনের সাথে সাংঘষিক শিক্ষা সিলেবাস অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে ঈমানদার মুসলমানদের হৃদয়ে আগুনের দাবানল দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। যা’ কেউ নেভাতে পারবে না। ইসলাম বিরোধী শিক্ষা সিলেবাস বাতিল, দুর্নীতির মূলোৎপাটন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ইসলামী হুকুমত কায়েমের দাবিতে আজ শনিবার বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নে জড়িত থাকার অভিযোগ সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী ড.দিপু মনির পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। দাবি মেনে নেয়া না হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা বুলেট বোমাকে ভয় করি না। ঈমানের তাগিদে রাজপথে নেমে এসেছি। অবিলম্বে ইসলাম বিরোধী শিক্ষা সিলেবাস বাতিল করুন না হয়, মুফতি আমিনীর সৈনিকরা গর্জে উঠবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান আল্লাহর সাথে সাংঘষিক বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নকারী নাস্তিকরা সময় থাকতে এদেশ ছেড়ে ভিনদেশে চলে যাও। নাস্তিক মুরতাদদের মুসলমানের দেশে ঠাঁই দেয়া হবে না। আল্লাহ বিরোধী শিক্ষা সিলেবাস তৈরিকারীদের এদেশে কবর রচনা করা হবে। এদেশের কোমলমতি শিশুদের বানরের সন্তান বানানোর ষড়যন্ত্র এবং হিযাব সর্ম্পকে বিদ্বেষ ছড়ানোর পরিণাম শুভ হবে না।
নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাস বাতিল এবং এতে জড়িতদের শাস্তি দেয়া না হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও সমাবেশে হুমকি দেয়া হয়। দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর সভাপতিত্বে এবং মাওলানা আলতাফ হোসেনের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাসেম, অধ্যাপক শেখ লোকমান হোসেন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি আব্দুল কাইয়ূম, মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা জোবায়ের কাসেমী, হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস, মাওলানা আবুল খায়ের বিক্রমপুরী, মুফতি হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা খোরশেদ আলম, মুফতি আব্দুল কাইয়ূম ও মুফতি নাসির উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।