মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিদেশের মাটিতে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা। দেয়ালে লেখা হল খলিস্তানপন্থী স্লোগান। এবারও ঘটনাস্থল সেই অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নের অ্যালবার্ট পার্ক এলাকায় ইসকন মন্দিরের দেয়াল লিখনে দেখা গেল ‘খলিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান। এমন ঘটনায় স্তম্ভিত ইসকনের ভক্তরা। এনিয়ে একমাসে তিনবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ধর্মীয় আঘাত নেমে এল। তটস্থ মানুষজন, বাড়ল পুলিশি নিরাপত্তা। তবে হামলাকারীরা এখনও অধরা।
দিন দুই আগেই অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের শিব বিষ্ণু মন্দিরে হামলা চলে। মন্দিরে ঢুকে তছনছ করা হয় বেশ কিছু সম্পত্তি। তারও আগে মেলবোর্নেরই স্বামীনারায়ণ মন্দিরেও হিন্দুত্ব বিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছিল। হিন্দুধর্মের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছিল। কালো কালিতে দেয়ালে লেখা ছিল, ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’-এর মতো স্লোগান। তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিতে বহুত্ববাদে বিশ্বাসী সংগঠনগুলি একসঙ্গে আলোচনায় বসে। ভিক্টোরিয়া প্রদেশেই জরুরি বৈঠক হয়।
ভিক্টোরিয়ায় পোঙ্গল উৎসবের দিন শিব বিষ্ণু মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর হয়। দেয়ালে লেখা হয় খলিস্তানপন্থী স্লোগান। আর এবার ইসকন মন্দিরে একই ঘটনা। ইসকনের জনসংযোগ বিভাগের কর্তা ভক্ত দাস বলছেন, ”অন্য ধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা থেকে যা যা ঘটছে, তা আমরা ভাবতেও পারিনি। আমরা আতঙ্কিত, বিধ্বস্ত। পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেয়া হয়েছে যাতে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পারে।” ইসকনের আরেক ভক্ত শিবেন পাণ্ডের কথায়, ”হিন্দু ধর্ম যেন আক্রমণের নিশানায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘৃণা ছড়াচ্ছে। ভিক্টোরিয়া প্রশাসন, পুলিশ মিলে সুরক্ষার জন্য বৈঠক করল। কিন্তু লাভ কী হল? আমি তো মনে করি এটা পুলিশের ব্যর্থতা।”
চলতি মাসেই তিন তিনবার অস্ট্রেলিয়ার হিন্দু মন্দিরেই এ ধরনের ঘটনা ঘটল। স্বভাবতই আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষজন। বিষয়টি প্রশাসনেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।