মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাল-হলুদ ফুলছোপের জ্যাকেটের হাতা কনুই পর্যন্ত গোটানো। কপালে বাঁধা কালো ফিতায় ‘নো এনআরসি, নো সিএএ’। মুঠো করা এক হাত উপরে তুলে, শরীরটা ঝাঁকিয়ে, আর এক হাতে মাইকটা শক্ত করে চেপে ধরে ছোট চেহারাটা তেজের সঙ্গে স্লোগান তুলছে ‘হাম ক্যয়া চাহতে...’ ভীড় থেকে গলা মিলিয়ে উত্তর আসছে, ‘আজাদি-আজাদি’। বুধবার বার ঘড়ির কাঁটায় তখন ১২টা বেজে গিয়েছে। কিন্তু এতটুকুও ক্লান্ত নয় আজাদির স্লোগান তোলা ছোট চেহারাটা। বরং হাত থেকে মাইক্রোফোন ছাড়তে নারাজ ছয় বছরের আইসান আলী। দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ওই বালক রোজই মা শামা পারভিনের হাত ধরে চলে আসে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার রাজাবাজারের ধর্না মঞ্চে। রাত বাড়লেও চোখে ঘুম নেই ছোট ছেলেটির। বরং বড়রা যখন স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তখন আইসান নিজেই ‘আজাদি’ কিংবা ‘হাল্লা বোল’ স্লোগান তুলে ঘুরে বেড়ায়। তাকে সঙ্গ দেয় জারা, জিশানের মতো অন্যান্য খুদেরা। ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ছেলের গলায় ‘আজাদি’স্লোগান শুনে উচ্ছ্বসিত তার মা শামাও। বললেন, ‘দেখুন, একটা বাচ্চা মন থেকে আজাদির কথা বলছে। কিন্তু মোদি তা শুনতে পাচ্ছেন না। আসলে এ সব শুনলে যে মোদিই গদি থেকে পড়ে যাবেন। ছেলের জন্য আমার গর্ব হচ্ছে।’’ ঠান্ডা লাগুক। যেভাবে হোক বাঁচাতে হবে দেশের মাটি। এটাই এখন সকলের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন বৃদ্ধা মুন্নি বেগম। তার কথায়, ‘‘সব কষ্ট সহ্য করা যায়। দেশ ভাগের ক্ষত যে প্রতি মুহূর্তে যন্ত্রণা দেয়। তাই সেটা বাচ্চা-বড় সকলকে এক জোট হয়ে আটকাতেই হবে।’’ আর তাই বোধহয় শীতের রাতেও ক্লান্ত না হয়ে ফের মাইক্রোফোন হাতে আইসান মাথা ঝাঁকিয়ে উৎসাহ নিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে, ‘আজাদি-আজাদি’। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।