মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আর্থিক সঙ্কট মোকাবেলা করতে শ্রীলঙ্কা ২০২৪ সালের মধ্যে তার বিশাল সামরিক বাহিনীর আকার প্রায় এক তৃতীয়াংশ হ্রাস করার পরিকল্পনা করেছে। একটি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পরে, শ্রীলঙ্কা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সশস্ত্র বাহিনী বজায় রেখেছে। দেশটির সেনাবাহিনীতে প্রায় ২ লাখ সেনা সদস্য রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রেমিথা বান্দারা থেনাকুন বলেছেন, সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমিয়ে এক লাখ ৩৫ হাজারে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা এক লাখে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে। সাত দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হওয়া দ্বীপদেশটি খরচ কমাতে এখন নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে; তারই মধ্যে শুক্রবার থেনাকুন সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমিয়ে আনার এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
‘সামরিক ব্যয় মূলত রাষ্ট্রের খরচের খাতে থাকে, যা জাতীয় ও মানবিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পথ করে দেয় ও উদ্দীপনা যোগায়,’ বিবৃতিতে বলেছেন লঙ্কান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ‘প্রযুক্তি ও কৌশলগতভাবে দক্ষ ও ভারসাম্যপূরণ করে গড়ে তোলা’, বলেছেন থেনাকুন।
শ্রীলঙ্কার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছিল বলে বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে; এই সংখ্যা তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) সঙ্গে ২৫ বছরব্যাপী সংঘাতের সময়কার চেয়েও অনেক বেশি। এলটিটিই-র সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর সংঘাত ২০০৯ সালে শেষ হয়। এখন দেশটির সামরিক বাহিনীর সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ২ লাখের সামান্য বেশি বলে জানিয়েছে লঙ্কান গণমাধ্যমগুলো।
কলম্বোভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ভেরিত রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা তাদের প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছিল ২০২১ সালে, সেসময় তাদের জিডিপির ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছর অবশ্য সেই ব্যয় নেমে জিডিপির ২ দশমিত ০৩ শতাংশে দাঁড়ায়। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত বছর সোয়া দুই কোটি জনসংখ্যার দ্বীপদেশটি যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে, তা থেকে উঠে দাঁড়াতে দেশটির সরকারকে এখন বাধ্য হয়ে নানা খাতে খরচ কমাতে হচ্ছে। সূত্র: ফিনান্সিয়াল টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।