নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা করেছিল ১০৫ রান। যে লক্ষ্য আফগানিস্তান পেরিয়ে যায় ৫৯ বল ও ৮ উইকেট বাকি রেখেই। এমন হারের পরে এশিয়া কাপ থেকে প্রথম দল হিসেবে শ্রীলঙ্কাই বাদ পড়বে, এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। সেই শ্রীলঙ্কাই কী দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সব হিসাব পাল্টে দিল! গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ এবং সুপার ফোরে আফগানিস্তান ও ভারত- এই তিন দলের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ জয়ের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকেও গুড়িয়ে দিয়েছে দাসুন শানাকার দল। তার সাথে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই দারুণ দুটি ইনিংস খেলা ভানুকা রাজাপক্ষেও। ক্রিজে এসে মতিগতি বুঝেছেন, এরপর দু-চারটি বড় শট খেলে পেশাদার ফিনিশারের মতো ম্যাচটা শেষ করে এসেছেন। এবারের এশিয়া কাপে এর আগেও কয়েকটি ম্যাচের শেষের অধ্যায়টা নিজেদের মতো করে লিখেছেন দুই লঙ্কান। তাঁদের নাম এখন মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়িয়ে ক্রিকেট-বিশ্বের মুখে মুখে।
অথচ এক-দুই বছর আগেও শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটাররা এত পরিচিত ছিলেন না। কারণ, টি-টোয়েন্টির বাজারে তাঁদের তেমন কোনো পরিচিতি ছিল না। বিপিএলের মতো ছোট লিগে তারা নিয়মিত খেলতেন। আর সেখানেই দেখা যেত তাঁদের প্রতিভা। সে জন্যই ওই দুই বিপিএল ম্যাচের উদাহরণ টানা। ওই দুই ইনিংসেই বোঝা যায়, শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টির প্রতিভা আছে। দরকার ছিল নিজেদের গড়ে তোলা ও সামর্থ্য দেখানোর মঞ্চ। সেটি একমাত্র নিজস্ব টি-টোয়েন্টি লিগ থাকলেই সম্ভব। ২০২০ সালে শুরু হওয়া লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) শানাকাদের জন্য ছিল সেই মঞ্চ। এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের দুটি মৌসুম অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতেই পাল্টে গেছে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলের চেহারা।
আজ ফাইনালের আগে তাই রাজাপক্ষের কণ্ঠে ভেসে এলো সেই ২০০০ সালের আত্মবিশ্বাস। যেন কথা বলছে রানাতুঙ্গা-ডি সিলভাদের ব্র্যান্ড, ‘এটা ছিল আমাদের ফিরে আসার লড়াই। কারণ, প্রথম ম্যাচে আমরা ১০৫ রানে অলআউট হই, যা বিব্রতকর। চেয়েছিলাম ঘুরে দাঁড়িয়ে সবাইকে দেখাতে যে, আমরা এতটা খারাপ দল নই।’ সবশেষে ম্যাচে ফাইনালের প্রতিপক্ষ এই পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন জয়ের পর এশিয়া কাপে স্বপ্নটাও বড় হয়েছে শ্রীলঙ্কার। ম্যাচ শেষে রাজাপক্ষেও বলছেন, ‘আমরা এখন আর আন্ডারডগ নই। আমরা তা প্রমাণ করেছি। আরব আমিরাতে যখন এসেছিলাম, তখন আমরা পিছিয়ে ছিলাম। জানতাম, পাকিস্তান-ভারত নিজেদের দিনে কতটা কঠিন প্রতিপক্ষ হতে পারে। তবে আমরা সবাই চেয়েছিলাম নিজেদের প্রমাণ করতে। বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষের কাছে।’
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় শ্রীলঙ্কা কঠিন সময় পার করছে অনেক দিন ধরেই। এ রকম সময়ে এশিয়া কাপে এই দারুণ জয়গুলো দেশের মানুষকে কিছুটা হলেও আনন্দ দিতে পেরেছে বলে মনে করেন রাজাপক্ষে। টুর্নামেন্ট জিতে সেই আনন্দটা আরও বাড়াতে চান রাজাপক্ষে, ‘আমরা দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছি। এত সমস্যার মধ্যে আমরা শুধু তাদের মুখে হাসিই ফেটানোর চেষ্টাই করতে পারি।’ ফাইনালের আগে তাই শিরোপার বড় দাবিদার হিসেবে দেখছেন রাজাপক্ষে। দলের কয়েকজন ফর্মে ফিরলে শ্রীলঙ্কাকে হারানো আরও কঠিন হবে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘আমরা শিরোপা জিততে চাই, এ নিয়ে আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। দু-একজন ক্রিকেটার ফর্মে ফিরলে শিরোপা জেতার সম্ভাবনা আরও বাড়বে।’
যেভাবে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা
প্রতিপক্ষ ফল
আফগানিস্তান ৮ উইকেটে হার
বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী
আফগানিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী
ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।