Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

১২ দিনে পাঁচ সেন্টিমিটার ধসে গেছে ভারতের জোশিমঠ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:১৮ পিএম

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের জোশিমঠ নিয়ে প্রতিনিয়ত শঙ্কা বাড়ছেই। দেশটির মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো জানিয়েছে, জোশিমঠ শহরের একটা বড় অংশ সম্পূর্ণভাবে ধসে যেতে পারে। খবর বিবিসির।

কার্টোস্যাট উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে তারা দেখেছে, মাত্র ১২ দিনের মধ্যে হিমালয়ের ওই ছোট শহরটি পাঁচ সেন্টিমিটারেরও বেশি ধসে গেছে।

গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওই শহরটি নয় সেন্টিমিটার দেবে গেছে বলেও জানিয়েছে ইসরোর অধীন ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে দ্রুত ধসে যাচ্ছে গোটা জোশিমঠ শহর আর তার আশপাশের এলাকা।

জোশিমঠের কাছেই রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটা বড় ছাউনি। চীন আর ভারতের মাঝে যে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি আছে, সেখানে নজরদারি চালান এই ছাউনিতে থাকা সেনাসদস্যরাই।

সেনা ছাউনির ২৫ থেকে ২৮টি ভবনেও ফাটল ধরেছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। এক সংবাদ সম্মেলনে পাণ্ডে জানিয়েছেন, ছাউনি থেকে সেনা সদস্যদের একটা অংশকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাহিনীর কতজনকে সরানো হয়েছে, তা জানান নি তিনি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই পাণ্ডেকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে ওই ছাউনি থেকে সব সেনা সদস্যকেই আউলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

এতদিন মনে করা হচ্ছিল যে ফাটল ধরে যাওয়া বাড়িগুলি ভেঙে ফেললেই বোধহয় সমস্যার সমাধান হবে, কিন্তু ইসরোর সর্বশেষ বিশ্লেষণ দেখে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে আদৌ শহরটিকে রক্ষা করা কি সম্ভব হবে?

পরিবেশবিদ বিমলেন্দু ঝা বৃহস্পতিবার একের পর এক টুইট করে সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, মেরামতের কোনও সুযোগই আর নেই, কোনও রিভার্স গিয়ার দেওয়াও সম্ভব নয়।

তিনি প্রকৌশলীদের ওপরেই সব দোষ চাপিয়ে লিখেছেন, ইঞ্জিনিয়াররা না বোঝেন ভূবিজ্ঞান, না জানেন ভূগোল। কোন মাটি খোঁড়া যেতে পারে, সেটাও তারা জানেন না কারণ তাদের পাঠ্যক্রমে এগুলো শেখানোই হয় না।

প্রকৌশলীদের দিকে ঝায়ের আঙুল তোলার কারণ, জোশিমঠের কিছুটা দূরে যে তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে, তারজন্য একটা ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ কাটতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, যার ফলে জোশিমঠের নীচে থাকা কোনও জলপ্রবাহ ফেটে গেছে বলে স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্টরা মনে করছেন।

যদিও ওই প্রকল্পটি নির্মাণ করছে যে সরকারী জাতীয় তাপবিদ্যুৎ কর্পোরেশন, তারা একথা অস্বীকার করে বলেছেন, সুড়ঙ্গ কাটার সময় কোন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ