মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত তিরুপতি বালাজি মন্দিরের বিপুল সম্পত্তির কথা সবার জানা। সম্প্রতি সেই সম্পত্তি নিয়েই ভুয়া খবর ছড়ায়। এরপরই নগদ অর্থ ও স্বর্ণ মিলিয়ে মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ঘোষণা করল তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্ট।
জানা গেছে, ভারতের বিখ্যাত এ মন্দিরের দশ টনের বেশি স্বর্ণ ও নগদ ১৫ হাজার ৯৩৮ কোটি রুপি সম্পত্তি রয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে যে মন্দির কর্তৃপক্ষ তাদের অতিরিক্তি সম্পত্তি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের হাতে তুলে দেবে। পরে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, মন্দিরের ভক্তদের ভুয়া খবর দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্তি সম্পত্তি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্দির কর্তৃপক্ষ। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্বৃত্ত সম্পত্তি নির্দিষ্ট ব্যাংকে সুরক্ষিত রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ২৫ কোটি রুপি। তিন বছরে তা বেড়ে তা ১৫ হাজার ৯৩৮ কোটি রুপি হয়েছে। ২০১৯ সালে স্বর্ণের পরিমাণ ছিল ৭ টনের বেশি। তিন বছরে সোনার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩ টন। ফলে বর্তমানে সোনার পরিমাণ ১০ দশমিক ৩ টন।
বিবৃতিতে সব ভক্তদের উদ্দেশে মন্দির কর্তৃপক্ষ বলেছে, 'মিথ্যা খবরের ফাঁদে পা দেবেন না। নগদ এবং স্বর্ণ মিলিয়ে মন্দিরের যত সম্পত্তি রয়েছে তা স্বচ্ছ উপায়ে ব্যাংকে জমা রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, ভারতের ধনী মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম তিরুপতি বালাজি মন্দির। এই মন্দিরে আরাধ্য দেবতার প্রতি ভক্তদের বিশ্বাস অসীম। ভক্তদের বিশ্বাস, বালাজির কাছে ভক্তি ভরে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়।
আর মনের আশা পূরণ হলেই ভক্তরা সোনাসহ নানা মূল্যবান ধাতু, অর্থ ইত্যাদিতে মুড়ে দেন তাদের ঈশ্বরের মূর্তিকে। শুধু ধনরত্নই নয়, অনেকে মাথার চুলও দান করেন। সেই চুল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে বিপুল অর্থ আয় করে তিরুপতি মন্দির ট্রাস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।