গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঘন কুয়াশার কারণে মধ্যরাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে পারেনি আটটি ফ্লাইট। এদের মধ্যে সাতটি ফ্লাইট অবতরণের চেষ্টা করলেও কুয়াশার কারণে ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে চলে যায়। অপর ফ্লাইটটি ফেরে মালয়েশিয়ায়। সর্বশেষ সকাল ৭টা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
রোববার (৭ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠা-নামা ব্যাহত হয়।
বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণ মাধ্যমকে বলেন, কুয়াশার কারণে রানওয়ের ভিজিবিলিটি (দৃশ্যমানতা) কম থাকায় সাতটি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে চট্টগ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তবে চট্টগ্রামে প্লেন রাখার জায়গা (পার্কিং) সংকট থাকায় তারা কলকাতা চলে যায়।
কুয়াশা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফ্লাইটগুলো অবতরণ করবে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইটগুলোর পাইলট অবতরণের আগে স্বচক্ষে রানওয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন না। ফলে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকাগামী বাটিক এয়ার, কুয়েত থেকে আসা কুয়েত এয়ারওয়েজ, জাজিরা এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুবাই, বিমানের দাম্মাম, গালফ এয়ারের বাহরাইন ও সালাম এয়ারের মাস্কাট থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইট কলকাতা চলে যায়।
পাশাপাশি এয়ার এশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর ২ ঘণ্টা উড়ে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার বিষয়ে জানতে পারে। পরে মাঝ আকাশ থেকে ফ্লাইটটি কুয়ালালামপুর ফিরে যায়। পাশাপাশি সউদির জেদ্দা থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট তাদের যাত্রা বাতিল করেছে।
একই কারণে ঢাকাগামী প্রায় ডজনখানেক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে অবতরণ করতে পারছে না।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, কুয়াশা কমে যাওয়ার পর আকাশে চক্কর দিতে থাকা ও কলকাতা থেকে আসা ফ্লাইটগুলোকে আগে অবতরণের সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ফ্লাইট উড্ডয়ন করতে দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।