গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী-আমান উল্লাহ আমানসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে তাদের বের করে নিয়ে আসে জানান নেতারা।
পরে রিজভীসহ অন্যদের পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে পুলিশের তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তাৎক্ষণিক দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের বিষয়ে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বিএনপি অফিসে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। তারা বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে।
এদিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মকবুল হোসেন নামে গুলিবিদ্ধ একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। তবে তিনি বিএনপি কর্মী কি না তা নিশ্চিত হতে পারেনি গণমাধ্যম।
এর আগে বিএনপি কার্যালয় থেকে দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিকেল ৪টার কিছু পর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বিএনপি কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনি তাদের নামপরিচয় জানাতে পারছি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।