বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনাজপুরের বিরলে নতুন কাপড় কিনে দেয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে নিয়ে গিয়ে নিজ ২ শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন পাষন্ড পিতা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শুক্রবার সকালে বিরল থানা পুলিশ ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাসেল সংগীয় ফোর্সসহ উপজেলার বিজোড়া ইউপি’র ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যাক্ত কক্ষথেকে সহদর ওই ২ শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এমএআর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। শিশু ২ জন বিরল পৌরসভার শংকরপুর ঘোড়াপীর এলাকার আইসক্রিম ফেরিওয়ালা শরিফুল ইসলামের ছেলে রিমন (৭) ও ইমরান (৩)। ইমন বাড়ীর পাশে হযরত আলী (রাঃ) দারুল উলুম হিফজুল কুরআন মাদরাসায় পড়া লেখা করত। ঘটনার পর থেকে পাষন্ড পিতা শরিফুল পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবা শরিফুল ইসলাম তার দুই সন্তানকে কাপড় কিনে দেয়ার জন্য বাসা থেকে সন্তানদের নিয়ে যায়। পরে বাসায় ফিরে না আসলে অনেক খোজাখুজির পরেও তাদের পাওয়া যায় নি। গতকাল শুক্রবার সকালে বাবা নিজেই শিশুদের দাদা রফিকুল ইসলামকে ফোন করে ওই বিদ্যালয়ে শিশু ২ জনের লাশ আছে বলে জানায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রাসহ পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত একটি কক্ষে বস্তাবন্দি লাশ ও পাশে একটি বিষের বোতল পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে শিশু ২জনের লাশ ও বিষের একটি খালি বোতল উদ্ধার করে।
স্বজনদের কাছ থেকে জানাগেছে, বিরল পৌরসভার শংকরপুর গ্রামের ঘোড়াপীর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৪) একই উপজেলার শগরগ্রাম ইউনিয়নের নাড়াবাড়ী এলাকায় উম্মে কুলসুম নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে ঘর সংসার করতে থাকে। তাদের দাম্পত্ত জীবনে তাদের কোলে ফুটফুটে দুই টি সন্তান আসে। বড় ছেলে ইমন (৭) ছোট ছেলে ইমরান (৩)। মাঝে মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ হলে শরিফুলের স্ত্রী বাবার বাড়ী নাড়াবাড়িতে চলে যেত এবং আবার কিছুদিন পরে স্বামীর বাড়ি চলে আসতো। এভাবেই চলতে থাকে তাদের সংসার। শরিফুল ইসলাম ফেরি করে আইসক্রিম বিক্রি এবং অফ মৌসুমে কৃষি কাজ করে সংসার পরিচালনা করে আসছিল। প্রায় ৩ মাস আগে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে স্ত্রী উম্মে কুলসুম স্বামী সন্তান ফেলে বাবার বাড়ী চলে যায় এবং কিছু পরে তার বড় বোনের সূত্রধরে গাজীপুরের সফিপুওে একটি গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ নেয়। গত ২০ থেকে ২৫ দিন আগে শরিফুল তাঁর স্ত্রীকে আনতে গিয়ে ফেরত আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শরিফুল তাঁর দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে নাই।
এদিকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলাম উদ্দিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পরিবারিক কলহের জের ধরে শিশু ২টির পিতা এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে। তবে শিশু ২টি পিতাকে খুজে পাওয়া গেলে প্রকৃত রহস্য জানানো যাবে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।