গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ আজ। এ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের খন্ড খন্ড মিছিল সমাবেশে জড়ো হতে শুরু করেছে। ব্যানারসহ মাথায় ব্যান্ড লাগানো নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্লাকার্ড বহন করছেন। রং-বেরংয়ের গেঞ্জি পড়ে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনমুখী।
দুপুর ২টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভামঞ্চের সামনে জায়গা পেতে দুপুর ১২টা আগে থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা আসছেন। অনেকে ব্যাগে করে দুপুরের খাবারও নিয়ে এসেছেন। নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ, ঢাকা উত্তরের পল্লবী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল আসছে।
গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম মোল্লা কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে ১২টার দিকে নয়াপল্টনে আসেন। তাদের প্রত্যেকের মাথায় একই রকমের ক্যাপ পরিহিত।
হালিম মোল্লা জানান, মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৪ বছর ঘরবাড়ি ছাড়া। তাদের আর হারানোর কিছু নেই। এবারের আন্দোলন হচ্ছে তাদের জীবন-মৃত্যুর। হয় দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, নয়তো মৃত্যুবরণ করতে হবে। সংগঠনের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে তারা যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন।
তার অনুসারীদের ব্যাগে দুপুরের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, সমাবেশ ২টায় শুরু হবে। এরপরে আর খাওয়ার সুযোগ তাদের হবে না। তাই সমাবেশের ফাকে খাবার খেয়ে নিতে তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত সমাবেশে থাকতে পারেন।
ঢাকা মহা নগরের স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী ইলিয়াস বলেন, তারা সাড়ে ১১ টা থেকে নাইটেঙ্গেল মোড়ে জড়ো হচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর তারা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন যাবেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের পরও নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। গ্রেফতারের আতঙ্ক থাকলেও এখন আর তারা সেটাকে পরোয়া করছেন না। সাধারণ জনগণও অতিষ্ঠ হয়ে ব্যাপকহারে অংশ নিচ্ছেন। এবার দেশের মানুষের বিজয় হবেই, ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।