পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিবর্তনবাদের মতবাদকে কেউ বিশ্বাস করলে সে কাফের। বিবর্তনবাদের মতবাদ যারা পড়বে তারাও কাফের। এই মতবাদকে যারা সমর্থন করবে তারাও কাফের। ইসলাম বিরোধী বিবর্তনবাদের পাঠ্যসূচি এদেশে মেনে নেয়া হবে না। বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাসে উপমহাদেশের মুসলিম শাসন ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। দাঁড়ি পর্দাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। ভারতীয় শিক্ষানীতি এদেশে চলতে দেয়া হবে না। ওরা চায় গোটা জাতি বেঈমান নাস্তিক হয়ে যাক। ইসলাম বিরোধী পাঠ্যসূচি বাতিল করে বিজ্ঞ আলেমদের সমন্বয়ে নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করে গ্রহণযোগ্য শিক্ষা সিলেবাস চালু করতে হবে। অন্যথায় এমন গণআন্দোলন গড়ে উঠবে রাম বামেরা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। ডেনমার্কে পবিত্র কোরআনকে অবমাননা, ইসলাম বিরোধী পাঠ্যসূচি বাতিল এবং দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ বিদ্যুৎ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে মুফতি ফয়জুল করীম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দলের মহানরী সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারি মাসউদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন দলে প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ মো. আমিনুল ইসলাম মহানগর সভাপতি মাওলানা মো. ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুল ইসলাম ,মাওলান আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা মো. জয়নুল আবেদীন, ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, মাওলানা মো. আরিফুল ইসলাম, ছাত্র নেতা মো. নজরুল ইসলাম ও ইউসুফ পিয়াস। একই দাবিতে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পরে মুফতি ফয়জুল করীমের নেতৃত্বে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ওরা এ দেশে রাম বামদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তিনি বলেন, একটি পত্রিকা শিক্ষা মন্ত্রীর বিতর্কিত যৌনশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রশংসা করেছে। শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মনির এক চোখে রাম আরেক চোখে বাম চশমা। তিনি ইসলাম বিদ্বেষী ভুলে ভরা পাঠ্যসূচিগুলোকে দেখতে পাচ্ছেন না। মুফতি ফয়জুল করীম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি বিতর্কিত ইসলাম বিদ্বেষী বইগুলো পড়–ন এবং দ্রæত তা’ বাতিল করে গ্রহণযোগ্য বই চালু করুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।