নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের আসরে অন্যতম ফেবারিট ছিল বাবর আজমের পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে টানা দুই ম্যাচ হার! অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তন পাকিস্তানের। টানা তিন জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে এশিয়া অন্যতম সেরা দলটি। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপের সেমির স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের।
রোববার অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ১২৭ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে তারা। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২৭ রানের অল্প পুঁজি নিয়েও শুরুতেই উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু সোহানের ভুলে নতুন জীবন পান মোহাম্মদ রিজওয়ান। নতুন জীবন পেয়েই উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব স্কোর গড়ে পাকিস্তান।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলেছিলেন ওপেনার রিজওয়ান। ক্যাচটি ফেলে দেন উইকেটককিপার নুরুল হাসান সোহান। জীবন পেয়ে পরের বলেই ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত খেললেন ৩২ রানের ইনিংস। ১১তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসুম। অফ স্টাম্পের বাইরে সরে গিয়ে স্লগ করতে গিয়েছিলেন বাবর, তবে লিডিং এজে ক্যাচ গেছে শর্ট থার্ডে। তালুবন্দি করতে ভুল করেননি মুস্তাফিজুর রহমান। ৩৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন বাবর।
বাবরের পর টিকতে পারেনি মোহাম্মদ রিজওয়ানও। এবাদতের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন পাক উইকেটকিপার ব্যাটার। ৩২ বলে সমান সংখ্যক রান করেছেন এই ব্যাটার। ৩২ বলে ৩২ রান করে এবাদত হোসেন বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১১.২ ওভারে ২ উইকেটে পাকিস্তানের তখন ৬১ রান। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে নওয়াজকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন লিটন। ৪ রান করে বিদায় নেন। তিনি। এরপর মোহাম্মদ হারিস ২৪ রান করে বিদায় নেন। তবে শাহ মাসুদ ২৪ ও ইফতিখার ১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আশায় টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এই ম্যাচে সাকিবের বিতর্কিত আউটের পর ব্যাট হাতেও বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে টিম টাইগার্স সংগ্রহ করে ১২৭ রান। অথচ প্রথম দশ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৭০ রান তোলে টিম টাইগার্স।
এরপর শাদাব খানের দুই ডেলিভারিতে পথ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। মূলত সাকিবের বিতর্কিত আউটের পর শেষমেশ আর বড় পুঁজি গড়তে পারেনি টিম টাইগার্স। ব্যাট হাতে নাজমুল হোসেন শান্ত সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। এছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেনি। এছাড়া লিটন ১০,সৌম্য ২০ ও আফিফ হোসেন ২৪ রান করেন। বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২২ রানে নেন ৪ উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।