গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকার সমাবেশ সফল করতে নেতাকর্মীরা প্রস্তত উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেছেন সময় হয়েছে রুখে দাঁড়াবার। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে যোগ দেয়ার। আজ ঢাকা জেলা বিএনপির সম্মেলনে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আপনাদের( আওয়ামী লীগ) শিক্ষা দেয়ার জন্য জনগণ আসছে। আমরা কিন্ত জনগণের পায়ের সেই আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।
নবাবগঞ্জে কলাকোপায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের নিজ বাড়ির সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির সম্মেলন ২২ আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমাদের লোকজনের চেয়ে বেশি পুলিশ। বুঝলাম কেন এত পুলিশ? আপনারা কি চুরি ডাকাতি করেছেন? আমাদের একটাই অপরাধ আমরা বিএনপি করি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের কথা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, মাটিতে কান পেতে শোনতে পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। কারা জানি আসছে এই সরকারকে সরাতে। কারা আসছে শহীদ জিয়ার সৈনিকারা আসছে।
তিনি বলেন, বিএনপি লুটপট, খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে নাই। মানুষের ভালোবাসায় বারবার ক্ষমতায় আসে।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন,' সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার।নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে যাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।আমাদের এই আন্দোলন দেশ রক্ষার আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।ফয়সালা রাজপথেই হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্ভিক্ষ আসছে এমনটা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন দেশের একটি মানুষ না খেয়ে মরে। যদি একবার ক্ষমতা থেকে সরে যান। তাহলে জনগণ আপনাদের পেটে পারা দিয়ে সব বের করবে।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দরবেশের নেতৃত্বে শেয়ার বাজার লুট করেছেন। সেই টাকা রাষ্ট্রকে ফেরত দেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে লুট করেছেন, সেই টাকা ফেরত দেন। দেশের এমন কোনো লুটপাট নেই যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বাইরে হয়।
তিনি বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি আসছে, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হউন। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্ব এই সরকারকে হটিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। আপনারা সেই প্রস্ততি নেন।
দলের নেতারা বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। যদি কেউ যায় তাহলে আপনারা রাজপথে গণদোলাই দেবেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবুর সভাপতিত্ত্বে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপি নেত্রী অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।