মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অন্তরীক্ষে হাসছে রবি! রীতিমতো অট্টহাসি! আর সেই ছবিই লেন্সবন্দি করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। শুধু তাই নয়, ‘হাস্যমুখ’ সূর্যের ছবিও প্রকাশ্যে এনেছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার তরফে টুইটারে সেই ছবি পোস্ট হতেই লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়।
সম্প্রতি নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি-র তরফে লেন্সবন্দি করা হয় সূর্যকে। সেখানে ইমোজির মতো হাসিমুখে ধরা দিয়েছে রবি! হাসি মুখের আদলে সূর্যের গায়ে দেখা গিয়েছে একটি কালো রেখা। নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, হাসিমুখের মতো দেখতে ওই কালো রেখাটি আসলে সূর্যের করোনাল হোলস। সৌর ঝড়ের কারণে ওই গর্ত তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
তবে সূর্যের হাসিমুখের ছবি প্রকাশ্যে আনার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নাসা। বিজ্ঞানীদের দাবি, সূর্যের গায়ের এই গর্তগুলি সৌর ঝড় ডেকে আনে। যা পৃথিবীর জন্য মোটেই স্বস্তির বিষয় নয়। ভবিষ্যতে সৌর ঝড় পৃথিবীর দিকেও ধেয়ে আসতে পারে বলে দাবি করেছেন তারা। পাশাপাশি, সূর্য থেকে অতি বেগুনি রশ্মির নিঃসরণ বেশি পরিমাণে হতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
চলতি বছরের আগস্টে স্ফটিক স্বচ্ছ সূর্য-চিত্র সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল, “উন্নত টেলিস্কোপ দিয়ে সূর্যের ১৪৫ মেগাপিক্সেল ছবি তোলা হয়েছে। জুম করুন।” উল্লেখ ওই ছবিতে সূর্যের গায়ের প্লাসমার ঢেউ দেখা গিয়েছিল। ‘U/aiamesmccarthy’-র নামে পোস্ট করা হয়েছিল রবি-ছবিটি। আর সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে আসতে না আসতেই লাইকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৩৬ হাজার। শুরু হয়েছিল কমেন্টের বন্যাও। পাশাপাশি ছবিটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছিলেন নেটিজেনরা।
সূর্যের অমন স্ফটিক স্বচ্ছ ছবি কে তুলেছেন তা জানতে আগ্রহী ছিলেন নেট নাগরিকদের একটা বড় অংশ। কমেন্টে একজন লেখেছিলেন, “আপনি কি নাসায় কাজ করেন? বা কোনও ইঞ্জিনিয়ার? এই ছবি দেখার পর আপনার সম্পর্কে জানার কৌতূহল চেপে রাখতে পারছি না।” আরেক জন লিখেছিলেন, “এই ছবি বড়ই অদ্ভুত। মহাজাগতিক বিস্ময়কে ফ্রেমবন্দি দেখে ভাল লাগছে।” আরও একধাপ এগিয়ে এসেছিল তৃতীয় কমেন্ট। “ছবিটা দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। ভেবেছিলাম মশলা মাখানো কোনও খাবার। লিঙ্ক দেখার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়,” লিখেছিলেন তিনি। যদিও ছবিটিকে কে তুলেছেন বা কীভাবে তোলা হয়েছে, তা নিয়ে কিছুই জানায়নি ওই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটি। সেই ঘটনার দেড় মাসের মাথায় ফের সূর্যের ছবি সামনে আনলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।