গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, আপনাদের বলব, শান্ত থাকেন; যদিও আমি নিজেই শান্ত থাকতে পারি না। মানুষের গায়ে হাত উঠে যায়। এটা আমার একটা বাজে অভ্যাস বলেও উল্লেখ করেন রাঙ্গা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কেউ বিশ্বাস করে না দাবি করে রাঙ্গা বলেন, আপনাকে বিএনপিও সন্দেহ করে, আওয়ামী লীগও সন্দেহ করে। আপনি কোন দিকে যাবেন ঠিক নেই। যেদিকে মাল (টাকা) বেশি দেবে, সেই দিকে যাবেন। একটা মানুষের কত টাকার দরকার? বুঝে না এখনো। কত টাকা লাগে বাঁচতে মানুষের।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাঙ্গা। ২৩ অক্টোবর উপজেলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে রওশন এরশাদপন্থী জাতীয় পার্টি। রওশন এরশাদ ঘোষিত জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে রাঙাকে যুগ্ম আহ্বায়কও করা হয়েছে।
রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি মূলধারা বলে দাবি করে রাঙ্গা বলেন, মূল ধারায় ফিরে আসেন। জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টি কখনো মূলধারায় নেই। এটা একটা ব্যবসায়ী জাতীয় পার্টি হয়ে গেছে। সেখানে গেলে ব্যবসা করতে হবে, পয়সা দিতে হবে। আপনাদের বলব, শান্ত থাকেন, যদিও আমি নিজেও শান্ত থাকতে পারি না। মানুষের গায়ে হাত উঠে যায়। এটা আমার একটা বাজে অভ্যাস।
তিনি বলেন, ঝন্টুকে (আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু) পাঁচবার মারছি, পাঁচবার আমার নামে মামলা হয়েছে। আমার নামে ১৭টি মামলা হয়েছে। পরে হাইকোর্টে থেকে জামিন নিয়েছি। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ৪২ হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছি।
রাঙ্গা বলেন, আমি যদি জাতীয় পার্টি নাও করি, থাকব তো অবশ্যই। আমার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তিন তলা একটি অফিস নেই। আমি সেই সমিতির তিনবারের প্রেসিডেন্ট। সেটা আমাকে জাতীয় পার্টি করেনি। উল্টো সংসদে তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে কথা বলেছে। কিন্তু আমি কিছু বলিনি। এটা সে (জিএম কাদের) বলতেই পারে। চুন্নুও (মজিবুল হক চুন্নু) বলেছে।
চুন্নুর খাওয়া নেই উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, চন্নু-মন্নুর খাওয়া নেই, বলে দিলাম। সময় থাকতে যা খাওয়ার খেয়ে নেন। ৩০ তারিখের পরে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এখন থেকে হিসাব করেন কোন দেশে পালাবেন। আমাদের কোনো দেশে পালাতে হবে না। আমরা এই দেশেই থাকব। তিনি বলেন, কারচুপি করে যদি কাউকে নির্বাচনের মনোনয়ন দেবেন মনে করেন; তাহলে এখনি দিয়ে দেন। কোনো অসুবিধা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।