Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত চোরাকারবারী মমতাজের মরদহে ৬দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দিলো বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১০:০৬ পিএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী ছোটবলদিয়া গ্রামের চোরাকারবারী মমতাজ (৪০) বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ৬দিন পর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দিলো বিএসএফ। আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) কামারপাড়া সীমান্তের ৮১ নম্বর প্রধান খুঁটির অপরপাশে ভারতের অভ্যন্তরে সন্ধ্যা ৭টায় মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মুন্সীপুর কোম্পানী কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ ইমরান আলী ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) নিখীল অধিকারী, ভারতের পক্ষে পুলিশের কৃষ্ণগঞ্জ থানার ডিএসপি সুভাষ রায়, আইসি বাবিন মুখার্জী এবং বিএসএফের বিজয়পুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর মহেষ রায়। সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে নিহত মমতাজের চাচা ওলি হোসেন বিজিবির কাছ থেকে মরদেহ বুঝে নেন। রাতেই নিজ গ্রাম ছোটবলদিয়া কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
নিহত চোরাকারবারী মমতাজের লাশ ফেরত দেয়ার আগে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় ৮১ নম্বর প্রধান খুঁটি বরাবর বিজিবিও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ( ৯ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে ছোটবলদিয়া সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান খুঁটির নিকট দিয়ে কাঁটাতার পার হয়ে কয়েকজন চোরাকারবারী অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। এ সময় ভারতের ৫৪ বিএসএফ বিজয়পুর ক্যাম্প সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে চোরাকারবারী মমতাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত মমতাজ ছোটবলদিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মরহুম নজরুল ইসলামের ছেলে। এদিন সকাল ১০টায় বিএসএফ সদস্যরা তার মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে কৃষ্ণনগরে নিয়ে যায়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চুয়াডাঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ