স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচটাকে ট্রেনিং সেশন বললেও হয়তো ভুল হবে না। যথারিতি দুর্বল ওসাসুনার সবাই ব্যস্ত রক্ষণ সামলাতে, মেসি-সুয়ারেজরা তাদের রক্ষণে চালিয়ে গেলেন একের পর এক আক্রমণ। তবে প্রথমার্ধ শেষে হয়তো কাতালান ভক্তদের মনে শঙ্কাটা জেকে বসেছিল। লা লিগায় টানা তিন ড্রয়ের পর আবারো কি হোঁচট খাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা?
না, শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। দলে যে ছিলেন একজন লিওনেল মেসি। ওসাসুনার বিপক্ষে লিগের শেষ আট ম্যাচে যার নামের পাশে ১৬ গোল। অঙ্কের হিসাবে এই ম্যাচেও দুই গোল করতে হত আর্জেন্টাইন তারকাকে। বার্সায় নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর আগে জাদুকরী কিছু করে দেখানোরও হয়তো তাগিদ ছিল নিজের মধ্যে। করলেনও তাই, বার্সাও হেসেখেলে জিতল ৩-০ গোলে। তবে নিজের হিসাবটা মিলিয়ে নিতে ম্যাচের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ‘নাম্বার টেন’কে। এজন্যে গোলটাও হয়তো করলেন ওমন দৃষ্টিনন্দন ভঙ্গিতে। লস রজিলোসদের ডি বক্সের মাঝে দাঁড়িয়ে এক হালি রক্ষণকে ঘোল খাইয়ে ঠাÐা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে।
মাত্র ২০ শতাংশ বলের দখল ছিল স্বাগতিকদের অনুকূলে। গোল বরাবর শট নেয়ার সুযোগ মেলে মাত্র একবার। তবে বলের দখল খাকলেও গোলের জন্য স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় এক ঘণ্টা। এর আগে গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করে তারা। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার অবসান ঘটে ৫৯তম মিনিটে। ডি বক্সের সামনে থেকে বাঁ প্রান্তে জর্ডি আলবার কাছে বল বাড়িয়েছিলেন মেসি। সেখান থেকে জর্ডি আলবার ভয়ঙ্কর ক্রস জালে না পাঠিয়ে কোন উপায় ছিল না লুইস সুয়ারেজের। ১৩ মিনিট বাদে নিজের প্রথম ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। এবারো সেই আলবার ভয়ঙ্কর ক্রস থেকে। পোস্টের কাছ থেকে ক্লিপ করে গোলরক্ষক পেরেজ গঞ্জালেজকে বোকা বানান ৫ বারের বিশ্বসেরা। ১১ গোল নিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনিই। ১০টি করে গোল সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও প্রতিদ্ব›দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।
রিয়াল মাদ্রিদের সাথেও পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে তিনে আনল বার্সা। খানিক বাদেই অবশ্য দিপোর্তিভোকে হারিয়ে ব্যবধান আবার বাড়ানোর সুযোগ ছিল জিনেদিন জিদানের দলের সামনে।