মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘আয় আয় চাঁদ মামা, সোনামনির কপালে টিপ দিয়ে যা’। রাতের আকাশে চাঁদ দেখিয়ে ছোট্ট শিশুদের ঘুম পাড়ানি এই গান সবাই করেন। আর চাঁদ নিয়ে রোম্যান্টিকতার কোনো শেষ নেই। কবিতা-গান-সাহিত্যে কত ভাবে-না চাঁদের প্রসঙ্গ এসেছে।
চাঁদ নিয়ে এই নান্দনিক চর্চার পাশাপাশি চাঁদের জন্ম নিয়েও বিস্তর ভেবেছে মানুষ। নানা কিছু আবিষ্কৃত হয়েছে। কত তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। পরে তা খারিজও হয়ে গেছে। তবে সম্প্রতি চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে নতুন করে গবেষণা হয়েছে। আর সেই গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। গবেষকদের দাবি, চাঁদ তৈরি হতে মোটেই বহু সময় লাগেনি! মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবীর এই উপগ্রহটি তৈরি হতে মোটেই শতাব্দীর পর শতাব্দী সময় লাগেনি। মাত্র অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল চাঁদ। চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আগেও বহু গবেষণা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী ভাবে এই উপগ্রহ তৈরি হয়েছে, তার খুঁটিনাটি তথ্য ঠিক সেভাবে পরিষ্কার হয়নি বিজ্ঞানীদের কাছে। তা বহুলাংশেই রহস্যে মোড়া থেকে গিয়েছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় চাঁদের উৎস সম্পর্কে নতুন তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘ইনস্টিটিউট ফর কম্পিউটেশনাল কসমোলজি’র একদল গবেষক জানিয়েছেন, চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। তাদের দাবি, পৃথিবীর সঙ্গে ‘থিয়া’ নামের এক মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কার পরপরই চাঁদের সৃষ্টি হয়। থিয়ার আকার প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান ছিল। পৃথিবীর সঙ্গে থিয়ার তীব্র সংঘর্ষ ঘটেছিল।
গবেষকরা কৃত্রিম মডেলে অতীতের সেই মহাজাগতিক ঘটনার পুনর্নিমাণ করেছেন। তাতে দেখা গেছে, তীব্র সংঘর্ষে পৃথিবী এবং থিয়া থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছিল কিছু পদার্থ এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ।
নাসার দাবি, চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে এই গবেষণা পৃথিবীর পক্ষেও কার্যকরী হবে, কী ভাবে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হল, তা বুঝতেও বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে চাঁদ সংক্রান্ত এই গবেষণা। চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে। সাধারণ ভাবে মনে করা হয়, পৃথিবীতে বড় কোনো আলোড়নের ফলে তার উপাদান ছিটকে বেরিয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে।
কেউ কেউ এমনও বলেছিল, চাঁদ তৈরি হয়েছিল পৃথিবীরই অংশ দিয়ে আর চাঁদ তৈরির পরেই তার জেরে তৈরি হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগর! সূত্র : সাইন্স ডেইলি ডটকম, চাঁদ-নিউ এটলাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।