পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সদ্য শেষ হওয়া রজব মাসের চাঁদ দেখার সিদ্ধান্ত জানানোর ক্ষেত্রে প্রথমে ভুল ঘোষণা করা হয়। গত ২৩শে জানুয়ারি কমিটি জানায়, আগামী ১৯শে ফেব্রুয়ারি শবেমেরাজ পালিত হবে। কিন্তু পরে সংশোধন করে বলা হয়, শবেমেরাজ পালিত হবে ১৮ই ফেব্রুয়ারি।
এদিকে আগামী ৭ই মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশে পালিত হবে পবিত্র শবেবরাত। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র শাবান মাসের দিন গণনা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বিলম্বে শবেবরাতের দিন ঘোষণায় অনেকেই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যান।
পত্রিকা-টেলিভিশন অফিসে ফোন দিয়ে অনেকে চাঁদ দেখার খবর জানতে চান। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাদ মাগরিব দেশে শাবান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঘোষণা দিতে অনেক সময় লেগেছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পূর্ব বাশুরিয়া উত্তর জামে মসজিদের ইমাম মো. মনিরুজ্জামান প্রথম শাবান মাসের চাঁদ দেখতে পান। এরপর ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন ও অন্য মুসল্লিরাও তার সঙ্গে চাঁদ দেখেন। চাঁদ দেখতে পাওয়া ব্যক্তি ও সাক্ষীদের জেলা চাঁদ দেখা কমিটির কাছে হাজির করা হয়।
পরে জেলা চাঁদ দেখা কমিটি ঢাকায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটিকে নিশ্চিত করে। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় জাতীয়ভাবে শবেবরাতের ঘোষণা দেয়ায় বিলম্ব হয়। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, জেলা চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক চলাকালে আমরা টুঙ্গিপাড়ায় শাবান মাসের চাঁদ দেখার খবর পাই।
সংশ্লিষ্টদের কমিটির কাছে হাজির করে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় কমিটিকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দেশের কোনো এলাকা থেকে চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। মাগরিবের নামাজ শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের টেলিফোন নম্বরগুলোতে ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা চাঁদের সংবাদ জানাতে থাকেন। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ৬৪ জেলা থেকেই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানান তারা চাঁদ দেখেননি। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও এমন খবর আসে।
চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ৮ই মার্চ শবেবরাত পালিত হবে-এমন সিদ্ধান্তের ঘোষণাও তৈরি করা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার মধ্যে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরমধ্যে গোপালগঞ্জ থেকে কমিটির কাছে খবর আসে একজন চাঁদ দেখেছেন। কমিটির সঙ্গে তাদের কথাও হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খবরটি না আসলে এটি কমিটি নিতে পারে না। কিন্তু তাদের অবস্থান ছিল টুঙ্গিপাড়া ও বাগেরহাটের সীমান্তে। শেষে ওই লোককে গাড়ি পাঠিয়ে জেলা চাঁদ দেখা কমিটির কাছে এনে তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
কমিটি সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে জাতীয় কমিটিকে জানিয়েছে। ইতিমধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকেও চাঁদ দেখার খবর আসে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ত্যাগ করার সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, শুধু দুটি জায়গা থেকে চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া গেছে। সেটি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। আমি চলে যাচ্ছি, ডিজি সাহেব এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।
২০১৯ সালে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম সমালোচনায় পড়ে চাঁদ দেখা কমিটি। তখন একবার চাঁদ দেখা যায়নি, এরপর রাত ১১টার দিকে আবার চাঁদ দেখা যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। ২০২০ সালে মহররম মাসের চাঁদ দেখা নিয়েও বিভ্রান্তিতে পড়েছিল জাতীয় কমিটি। ওই বছরের ২০শে আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে আশুরা পালনের তারিখ ঘোষণা করে কমিটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।