বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে পদ্মাদীঘির পাড়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন পাটওয়ারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছেন।শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন পাটওয়ারী রশিদপুর এলাকার সাদেক পাটওয়ারীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পদ্মা দিঘীরপাড় ব্রিজের ওপর বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ৮-১০ জনের একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার সদর হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদী বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত বলে স্থানীয়রা জানায়। এলাকায় চিহিৃত সন্ত্রাসীদের গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার, অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
আলাউদ্দিন পাটওয়ারীকে বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি দাবি করে সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু বলেন, বিএনপি-যুবদলের ক্যাডাররা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পূর্ব শত্রুতা বা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমনটি হতে পারে। এ হত্যাকাণ্ড কারা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এলাকায় চলছে অভিযান। জড়িতদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারে কাজ করছি।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনোভাবে মেনে নেয়া যায়না। এ ঘটনার সাথে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ইন্ধন রয়েছে কিনা, সেটা তদন্ত করে বের করতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। হত্যাকারীদের চিহিৃত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত রয়েছে তাদের চিহিৃত করে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।