Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফাইনালে রাজশাহীকে পেল ঢাকা

প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৫৪ এএম, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

খুলনা টাইটান্স : ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৫ রান। রাজশাহী কিংস : ১৯.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৯ রান। ফল : রাজশাহী কিংস ৭ উইকেটে জয়ী।
শামীম চৌধুরী : ২৪ ঘণ্টা আগে চিটাগাং ভাইকিংসকে এলিমিনেটরে হারিয়ে অদৃশ্য ক্যামেরায় সেলফি উৎসবে  আনন্দ প্রকাশে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে যে দলটির অধিনায়ক, সেই ড্যারেন স্যামীকে গতকাল উচ্ছ্বাসে ভাসেননি। দেখা যায়নি গতকাল রাতে রাজশাহী  কিংসের সেই উৎসব। সামিট প্যাটেলের বলে (৩/১৯) খুলনা টাইটান্সকে ১২৫/৯ এ থামিয়ে বড় জয়ের আবহটা তৈরি করেছিল রাজশাহী  কিংস। বোলার-ফিল্ডারদের তৈরি করে দেয়া বড় জয়ের আবহ খায়নি ধাক্কা।  অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে রাজার আসনে বসেছেন স্যামী, ব্যাটসম্যানদের উপর নির্দেশনা ছিল একটাই, উচ্চাভিলাসী শটে নয়, দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চাই জয়। স্যামীর সে নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে টিমমেট ব্যাটসম্যানরা। মাহামুদুল্লাহকে লং অনের উপর দিয়ে ফ্রাঙ্কলিনের ছক্কায় ৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে বিশাল জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেও তাই উৎসবে ফেটে পড়েনি স্যামীর রাজশাহী কিংস। যে দলকে লীগ রাউন্ডে ২ বার হারিয়েছে, সেই ঢাকা ডায়নামাইটসকেই যে ফাইনালে পেলো রাজশাহী কিংস। প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল প্লে অফ, দ্বিতীয় লক্ষ্য ফাইনাল, এখন এক ধাপ পেরুলেই শিরোপাÑ সেই লক্ষ্য পূরণের উৎসবটা জমিয়ে রেখেছে রাজশাহী কিংস।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দু’-দু’টি রান আউটেই খুলনা টাইটান্সকে ব্যাকফুটে নামিয়ে এনেছে রাজশাহী  কিংস। ফিল্ডিংয়ে চাঙাভাবটা প্রকাশে নিজেদের ফুরফুরে মেজাজটা জানিয়ে দিতে পেরেছে তাতেই। পঞ্চম এবং সষ্ঠ ওভারে মিরাজ, ফরহাদ রেজার উপর চড়াও হয়েছিলেন খুলনা টাইটান্স টপ অর্ডার নিকোলাস পুরান। ১৭ বছর বয়সী ধ্রুবকে ছক্কা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন পুরান। তা দেখে আফিফ ধ্রুব’র কাছে দৌড়ে এসে দিয়েছিলেন সাহস, পিঠ চাপড়ে বলেছিলেন, ভয়ের কিছুই নেই। ছক্কা খেয়ে ভড়কে যাওয়ার কথা যার, সেই আফিফই কি না স্যামীর কথায়  উজ্জীবিত। নিজের প্রথম ওভারেই ফাঁদ পেতে সেই পুরানকে লং অফে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। ১০ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস শেষে পুরানের ফিরে যাওয়াতেই ছন্দপতন হয়েছে খুলনার ব্যাটিং। অবশিষ্ট ধাক্কাটা  দিয়েছেন সামিট প্যাটেল ( ৩/১৯)। টানা তৃতীয় ম্যাচেও স্যামীর ট্র্যাম্পকার্ড ছিলেন কেসরিক উইলিয়ামস (১/১৮)। ক্যালকুলেটিভ বোলিংয়ে ইনিংসের মাঝপথে মাহামুদুল্লাহ’র ধুকতে ধুকতে ২৮ বলে ২২ রান কিংবা লোয়ার অর্ডার আরিফুলের ২৯ বলে ৩২ রানেও রাজশাহীকে তেমন চ্যালেঞ্জটা দিতে পারেনি খুলনা।
১২৬’র জবাব দিতে এসে উচ্চাভিলাসী শটে মুমিনুল (২), সোহানের ( ১৪) ফিরে যাওয়ার পর টিমমেট ব্যাটসম্যানদের কঠোর বার্তা দিয়েছেন স্যামী। অধিনায়কের সে বার্তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বোলার আফিফ দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়েছেন (২৭ বলে ২৬ রান)। এই পুচকের দেয়া শিক্ষা ধারণ করেছেন সাব্বির, ফ্রাঙ্কলিন। ৯ চার ৯ ছক্কায় সেঞ্চুরির ইনিংস আছে যার চলমান বিপিএলে, সেই সাব্বিরের সময়োচিত ব্যাটিংয়ে নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার দৃষ্টান্তও দেখল দর্শক এদিন। বাঁ হাতি স্পিনার মোশারফ রুবেলকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কায় মাতিয়েছেন ঠিকই, তবে শেষ ৩০ বলে ৩১ রানের সহজ লক্ষ্যে হাতভর্তি উইকেট থেকেও সংযমী সাব্বির ! ৫২বলে ২ চার ১ ছক্কায় ৪৩ রানের হার না মানা ইনিংসেই দায়িত্ববোধে সজাগ থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন সাব্বির। ফ্রাঙ্কলিনের ব্যাটিং (২৪ বলে ৩০) দেখে ডাগ আউট থেকে প্যাড খুলে ফেলেছেন স্যামী। এক দল পারফরমারের মধ্যে দিনটিতে রাজশাহীর রাজা সামিট প্যাটেল।



 

Show all comments
  • Mahbub ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:০২ এএম says : 0
    Dhaka e champion hobe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপিএল

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ