পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের কাছ থেকে ২০টি সশস্ত্র ড্রোন কিনেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। চলতি মাসে এসব ড্রোন কিনেছে দেশটি। দুটি তুর্কি সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছে, আগামী আরও ড্রোন কিনতে পারে আমিরাত। সিরিয়া, ইউক্রে ও লিবিয়ার সংঘাতে তুর্কি প্রতিরক্ষা কোম্পানি বায়কার নির্মিত ড্রোন কার্যকর হওয়ার পর এগুলোর আন্তর্জাতিক চাহিদা বেড়েছে। আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›িদ্বতার ক্ষেত্রে দুই মেরুতে অবস্থান ছিল তুরস্ক ও আরব আমিরাতের। দুই বছর আগে লিবিয়াতে আমিরাত সমর্থিত একটি লেজার গাইডেড বোমা হামলা নিষ্ক্রিয় করেছিল এই তুর্কি ড্রোন। লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে দেশ দুটি বিরোধপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু গত বছর দুই দেশ বিরোধিতা বাদ দিয়ে সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। তুরস্কের একটি সূত্র জানিয়েছে, আঙ্কারার কাছ থেকে আবুধাবি ও রিয়াদ বায়রাখতার টিবি২ ড্রোন কিনতে আলোচনা করছে। আলোচনার ফল হিসেবে এই মাসের শুরুতে আমিরাতের কাছে ২০টি ড্রোন বিক্রি করা হয়েছে। এক সিনিয়র তুর্কি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, আমিরাতের কাছে কয়েকটি ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে। আধুধাবি আরও ড্রোন কিনতে চাইছে। সৌদি আরবও এসব ড্রোন চেয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, সৌদি আরব এসব ড্রোন উৎপাদনের জন্য একটি কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। তুর্কি কোম্পানি বায়কার সৌদি আরবের এই অনুরোধ বিবেচনা করছে। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের জন্য এটি একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে তুরস্কে সৌদি আরবের বিনিয়োগের বিষয়টিও জড়িত। এই বিষয়ে আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সৌদি আরব সরকার ও তুর্কি কোম্পানি বায়কার-এর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।