মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একটি অপরাধের জন্য গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন মুসলিম পুরুষ অভিযোগ করেছেন যে, রাজগড় জেলা কারাগারের একজন কর্মকর্তা তাদের দাড়ি কামাতে বাধ্য করেছিলেন। এ নিয়ে গতকাল মধ্যপ্রদেশ কারাগারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন যে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
একজন কংগ্রেস বিধায়ক অভিযোগ করেছেন যে, এসব ব্যক্তিকে জেলে নির্যাতন করা হয়, অন্যদিকে অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দাবি করেছেন যে, এটি ‘হেফাজতে নির্যাতন’-এর উদাহরণ।
কালিম খান, তালিব খান, আরিফ খান, সালমান খান ওরফে ভোলা এবং ওয়াহিদ খান - এ পাঁচজনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ ধারা (জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত)-এর অধীনে গ্রেফতারের পর ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা কারাগারে পাঠানো হয় এবং ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
মঙ্গলবার ভোপালের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ পাঁচ জনের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেন। মাসুদ জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাঁচজনকে দাড়ি কামাতে বাধ্য করার অভিযোগ তোলেন এবং জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে এসব ব্যক্তিদের লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। মাসুদ পরে বলেন যে, মিশ্র তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
রাজগড়ের জেলা কারাগারের জেলর এস এন রানা, যিনি এসব ব্যক্তির অভিযুক্ত ছিলেন, বলেন যে, এমন একটি সম্ভাবনা থাকতে পারে যে, তাদের নিজের অনুরোধে তাদের দাড়ি কামানো হয়েছিল, কারণ কারাগারে এমন ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, কারাগারে প্রত্যেকের নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী দাড়ি ও চুল রাখার স্বাধীনতা রয়েছে। রানা বলেন, আট থেকে ১০ জন দাড়িওয়ালা মুসলিম বন্দি ইতোমধ্যে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি), জেল, এম আর প্যাটেল বলেছেন যে, এখনই কিছু বলা যাবে না, কারণ বিষয়টির তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষ হওয়ার পরে তথ্য শেয়ার করা হবে।
এদিকে, এআইএমআইএম প্রধান ওয়াইসি তার টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দাবি করেছেন যে, এটি হেফাজতে নির্যাতনের একটি কাজ। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল ওসব ব্যক্তিকে আইপিসি ধারার অধীনে থানায়ই জামিন দেওয়া যেতে পারত, কিন্তু জেলে পাঠানো হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কেন দাড়িওয়ালা পুরুষদের পাকিস্তানি বলা হয়?। দাড়িওয়ালা বিজেপির লোকদের সাথে কি এমনটা করা যায়- তিনি জানতে চান’? সূত্র : পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।