Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হওয়ার অঙ্গীকার মারকেলের

| প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। চ্যান্সেলর পদে চতুর্থ মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রক্ষণশীলদের সমর্থন পাওয়ার জন্য তিনি এমন কথা বলছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার দেশটির এসেন শহরে অনুষ্ঠিত ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) পার্টির কংগ্রেসে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মারকেল বলেন, আমাকে আপনাদের সহায়তা করতে হবে। অনেক অভিজ্ঞ কেউও এককভাবে জার্মানি, ইউরোপ বা বিশ্বের জন্য ভালো কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন না। এককভাবে জার্মান চ্যান্সেলরও তা নিশ্চিতভাবেই পারবেন না। গত বছর ইউরোপ শরণার্থী সংকটের মুখে পড়লে মারকেল জার্মানির দরজা শরণার্থীদের জন্য খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। অভ্যন্তরীণভাবে এই নীতির কারণে সমালোচিত হলেও মারকেল এই নীতি থেকে সরে দাঁড়াননি। অভিবাসনবিরোধী নীতি নিয়ে এর মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) পার্টি। মারকেলের জনপ্রিয়তাও কমে যায়। শেষপর্যন্ত এই নীতি থেকে সরে এলেন মারকেল।
দলীয় কংগ্রেসে মারকেল বলেন, গত বছর জার্মানিতে যে পরিমাণ শরণার্থী প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে, আগামী বছর সেই পরিমাণ শরণার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না। তাছাড়া মুসলিম নারীদের মুখম-ল আবৃত করা পোশাক জার্মান সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে তা নিষিদ্ধেরও আহ্বান জানান মারকেল। তিনি বলেন, আমরা এখানে বলে থাকি, তোমার মুখম-ল দেখাও। কাজেই সম্পূর্ণ মুখ ঢেকে রাখা নেকাব এখানে উপযুক্ত নয়। যেখানেই সম্ভব এটাকে নিষিদ্ধ করা উচিত। অথচ এক বছর আগেও এধরনের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সিডিইউ। কংগ্রেসে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন মারকেল। তাতে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিও তুলে ধরেন তিনি। সিরিয়ার আলেপ্পোতে অব্যাহত বোমাবর্ষণকে তিনি লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া সহজ কাজ হবে না বলেও মন্তব্য করেন মারকেল। অনেকেই মনে করছেন যে, বর্তমান বিশ্ব বিপথে চালিত হচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে মারকেল বলেন, বিশেষ করে মার্কিন নির্বাচনের পর আমরা এমন একটি বিশ্বের মুখোমুখি হয়েছি যাকে ন্যাটো ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে মাথায় রেখেই নতুন করে সাজাতে হবে। ২০১৭ সালের নির্বাচনকে দুই জার্মানি একীভূত হওয়ার পরের সময়ের সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন বলে মন্তব্য করেন মারকেল। ১৬ বছর আগে এই শহরেই সিডিইউ পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাঙ্গেলা মারকেল। ওই শহরেই দলের কংগ্রেসে অনিশ্চয়তাপূর্ণ বিশ্বে নিজেকে স্থিতিশীলতার নিশ্চায়ক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন মারকেল। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিবাসন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ