পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২০ সাল বসবাস করা বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৭.৪ মিলিয়ন (৭৪ লাখ)। অভিবাসীদের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২২’ -এ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অভিবাসীর সংখ্যা ১৯৭০ সালে বিশ্বব্যাপী ৮৪ মিলিয়ন থেকে ২০২০ সালে ২৮১ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩.৬ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ মানুষই (৯৬.৪ শতাংশ) যে দেশে জন্মগ্রহণ করে, সে দেশেই বসবাস করে। কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসীর সংখ্যা ২ মিলিয়নের মতো কম ছিল।
এতে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ক্রমাগতভাবে সারা বিশ্বে অভিবাসীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলছে। বর্তমানে পৃথিবীতে ২৮ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ৭৪ লাখ (৭.৪০ মিলিয়ন)। আর রেমিট্যান্স পাঠানোয় অষ্টম।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাপী আকাশপথে যাত্রীর সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালে যাত্রীসংখ্যা ছিল ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন, যা ২০২০ সালে ১ দশমিক ৮ বিলিয়নে দাঁড়ায়। একই সময়ে দুর্যোগ, সংঘাত এবং সহিংসতার ফলে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ মিলিয়ন, যা এক বছর আগে ছিল ৩১ দশমিক ৫ মিলিয়ন।
এ প্রসঙ্গে আইওএমর মহাপরিচালক অ্যান্টোনিও ভিটোরিনো বলেন, আমরা একটি বৈপরীত্য লক্ষ্য করছি, যা মানব ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি। কোভিড-১৯ এর কারণে শত কোটি মানুষ আটকা পড়েছে। তারপরও লাখ লাখ বাস্তুচ্যুতির ঘটনায় বিপুলসংখ্যক মানুষ গৃহহীন হতে বাধ্য হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাইরে বসবাস করেও প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীরা ২০১৯ সালে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩ শতাংশ প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে এসেছে যারা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) দেশগুলোতে প্রধানত আধা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। এই রেমিট্যান্স, জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক আয়ের উৎস।
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সম্পর্কে বলা হয়, অভিবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোয় উদ্বুদ্ধ করার জন্য নীতিনির্ধারকদের নেয়া পদক্ষেপের ফলে এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।