মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর প্রদেশের বারানসি জেলার আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটি জ্ঞানবাপী মসজিদ-শ্রিংগার গৌরী জটিল মামলার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে স্থানীয় আদালতের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের জন্য সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করছে।
গত সোমবার বারাণসী জেলা আদালত মসজিদ কমিটির যুক্তি খারিজ করে বলেছে যে, এটি হিন্দু দেবতাদের প্রতিদিনের পূজা করার আবেদনের শুনানি চালিয়ে যাবে যাদের মূর্তি জ্ঞানবাপী মসজিদের বাইরের দেয়ালে অবস্থিত।
কমিটি শহরের জ্ঞানবাপী মসজিদসহ ২২টি মসজিদের দেখভাল করে এবং এটি জ্ঞানবাপী মসজিদ-শ্রিংগার গৌরী জটিল মামলায় মুসলিমদের পক্ষাবলম্বন করে।
এদিকে, হিন্দুবাদীদের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট বিশু জৈন বলেন, ‘যদি মুসলিম পক্ষ হাইকোর্টে যায়, তাহলে আমরাও সেখানে গিয়ে একটি ক্যাভিয়েট দায়ের করব যাতে হাইকোর্ট হিন্দু পক্ষের কথা না শুনে কোনো আদেশ না দেয়’।
গতকাল কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেছেন, ‘জেলা আদালতের আদেশে আমরা ব্যাপকভাবে হতাশ হয়েছি। আমরা দুঃখিত যে, আদালত আমাদের সমস্ত যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে আমরা হাল ছাড়ব না’। তিনি আরো বলেন, আমরা হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছি রায় চ্যালেঞ্জ করার জন্য।
এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিবৃতিতে যে, এ মামলাটি বাবরি মসজিদ মামলার মতোই চলছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াসিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত ১৩টি মামলা চলছে। আদালতের আদেশের পর দেশে আরো মামলা দায়ের করা হবে’।
‘এখন যখন কিছু লোক দেশের পরিবেশ নষ্ট করতে চায়, তখন আমরা কী করতে পারি? আমরা আমাদের আইনি লড়াই চালিয়ে যাব’ বলেন তিনি। কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মেরাজউদ্দিন সিদ্দিকী মঙ্গলবার বলেন, জেলা আদালতের আদেশ ন্যায়সঙ্গত নয় এবং আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
আদালতের নির্দেশে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক আবার শুরু হয়েছে। মসজিদটি আইকনিক মন্দিরের পাশে অবস্থিত এবং বারাণসী আদালতে মামলাটি দাবি করে যে, মসজিদটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হিন্দু কাঠামোর একটি অংশে নির্মিত হয়েছিল।
এর আগে, কমপ্লেক্সের আদালত-নির্দেশিত জরিপে হিন্দুবাদীরা দাবি করেছিলেন যে, সেখানে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। অবশ্য মুসলিম পক্ষ এ দাবিটি প্রত্যাখ্যান করেছে। পরে, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি জেলা আদালতে স্থানান্তরিত করে। শৃঙ্গার গৌরীর মূর্তির সামনে দৈনিক প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়ে পাঁচ হিন্দু মহিলার পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার আবেদনকারীদের একজন লক্ষ্মী দেবী বলেছেন, তারা এখন আদালতকে কার্বন ডেটিং-এর জন্য যেতে বলবেন। একটি কাঠামোর বয়স নির্ণয় করার জন্য পদ্ধতিটি গৃহীত হয়। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।