ভোলার দৌলতখানে রতনা বেগম(১৯) নামে এক গৃহবধূকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রাসেল ও শাশুড়ি নিলু বেগমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী রাসেল ও শ্বাশুড়ি নিলু বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরখিলফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রতন ব্যাপারী বাড়িত এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ রতনা বেগম উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজী বাড়ির নসু ব্যাপারীর মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ মাস পূর্বে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দিনের ছেলে রাসেলের সাথে সৈয়দপুর ইউনিয়নের নসু ব্যাপারীর মেয়ে রতনার বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূকে যৌতূকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী ও শাশুড়ি । ঘটনার দিন সকালে নিহত গৃহবধূ রতনা বেগম তার বাপের বাড়িতে যেতে চান। এসময় স্বামী ও শ্বাশুড়ি গৃহবধূ রতনা বেগমকে তার বাপের বাড়িতে যেতে বাধা দেন। এনিয়ে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে রতনার ঝগড়া হয়। এ ঘটনার পর স্বামী রাসেল শ্বশুর বাড়িতে ফোন করে জানায় রতনা মারা গেছে। খরব পেয়ে দৌলতখান থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।