Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের অর্থনীতি হোঁচট খাওয়ায় বাড়ির মালিকরা বন্ধকী পেমেন্ট বর্জন করছেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২২, ৪:৪১ পিএম

গোটা চীনজুড়ে গৃহ ক্রেতারা যারা ঋণগ্রস্ত ডেভেলপারদের কাছ থেকে সম্পত্তি কিনেছেন তারা তাদের অসমাপ্ত অ্যাপার্টমেন্টের ওপর ঋণ পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এশীয় বাণিজ্যবিষয়ক করেসপন্ডেন্ট ডাইসুকে ওয়াকাবায়াশি এক লেখায় জানিয়েছেন, যে চীনের অর্থনীতি হোঁচট খাওয়ায় বাড়ির মালিকরা বন্ধকী অর্থপ্রদান বর্জন করছেন।

কয়েক দশক ধরে সম্পত্তি কেনা চীনে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল। কিন্তু এখন দেশের মধ্যবিত্তের জন্য সম্পদের ভিত্তি গড়ে তোলার পরিবর্তে রিয়েল এস্টেট অসন্তোষ ও ক্ষোভের উৎস হয়ে উঠেছে।
চীনজুড়ে ১০০টিরও বেশি শহরে এই বর্জন শুরু হয়েছে। মূলত কোভিড লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার কারণে মন্থর হয়ে পড়া তার ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির কারণে এটা হচ্ছে।
তদুপরি, চীনের সামাজিক ঋণ ব্যবস্থা লঙ্ঘনের শাস্তি রয়েছে। যেমন ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতা একজন ব্যক্তির ভ্রমণ করার, তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করা বা ভবিষ্যতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা সীমিত করে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন করেছে যে, ‘গিটহাব’ অনলাইন রিপোজিটরিতে ‘উইনিডহোম’ শিরোনামে একটি আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। বর্তমানে অনলাইনে বর্জনের হুমকি দেওয়া বাড়ির মালিকের সংখ্যা ৩২৬ জনে পৌঁছেছে।
এএনজেড রিসার্চের অনুমান বলছে, এই বর্জনের ডাক প্রায় ২২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ গৃহঋণকে প্রভাবিত করতে পারে বা বকেয়া বন্ধকের প্রায় ৪ শতাংশ।
দেশটির অর্থনীতি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মন্থর প্রবৃদ্ধির পথে রয়েছে। এর কারখানাগুলো বিশ্বে কম বিক্রি করছে এবং এর ভোক্তারা বাড়িতে কম খরচ করছে। সোমবার সরকার বলেছে যে যুব বেকারত্ব উচ্চ রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
গত জুলাইয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় হুনান প্রদেশের এক বাড়ির মালিক স্থানীয় কর্মকর্তার কাছে লেখা একটি চিঠিতে বলেছিলেন, ‘জীবন অত্যন্ত কঠিন এবং আমরা আর মাসিক বন্ধক বহন করতে পারব না। আমাদের হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে ঝুঁকি নিতে হবে এবং একটি বন্ধকী ধর্মঘটের পথ অনুসরণ করতে হবে।’
এই বন্ধকী বিদ্রোহ দেশটির আবাসন বাজারকে বিপর্যস্ত করেছে। এটি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্যও অবাঞ্ছিত জটিলতা তৈরি করেছে। কারণ এ বছরের শেষের দিকে চীনে সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং অব্যাহত সমৃদ্ধির বার্তায় পার্টির নেতা হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে থাকতে যাচ্ছেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বন্ধকী ধর্মঘটের নোটিশগুলোর একটি প্রাথমিক ঝাঁকুনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে, সরকারের ইন্টারনেট সেন্সরগুলি কাজ শুরু করে। তবে ধর্মঘটের প্রভাব ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ডাইসুকে। সূত্র : এএনআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বর্জন

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ