পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শ্রমিক নেতাদের দাবি মালিক পক্ষ তামাশা করছে
চট্টগ্রাম-সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল ও শমসেরনগরসহ দেশের ১৬৭ টি চা বাগানের ২৩২টি ফাঁড়ি বাগানের চা শ্রমিরা ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তীব্রভাবে ধর্মঘটসহ সড়ক মহাসড়ক অবরোধ করে ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা। তারা বলছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে গতকাল দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত হবিগঞ্জের মাধবপুরের জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চা শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সেøাাগান দেন। চা শ্রমিক নেতারা বলেন, গত বুধবার ঢাকায় শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে বৈঠকে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে তামাশা করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চা শ্রমিকদের ১২০ টাকা মজুরিতে জীবন-জীবিকা চালানো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য চা শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরি আদায়ের দাবিতে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। পরে হবিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের আশ^াসে রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করে চা শ্রমিকরা।
এই দিকে গত মঙ্গলবার চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদফতরের ডিজি খালেদ মামুন চৌধুরীর দু’দফা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে কোন সমঝোতা না হওয়ায় গত বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা শ্রম অধিদফতরের কার্যালয়ে শ্রমিকপক্ষ ও মালিকপক্ষকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসে শ্রম অধিদফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ। সেখানেও ত্রিপক্ষীয় দুই দফা বৈঠকে কোন সমঝোতা হয়নি। চা শ্রমিকদের ১২০ টাকার মজুরিকে ১৪০ টাকা করার সিদ্ধান্ত দেয় মালিক পক্ষ। ২০ টাকা মজুরি বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয় সেটি প্রত্যাখান করেছেন চা শ্রমিক নেতারা । ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির আহবান জানিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষ করেন।
অপরদিকে মালিকপক্ষ চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির চলমান আন্দোলনের সময়ে শ্রীমঙ্গল থানায় ৪টি চা বাগানের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ডায়েরিতে শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে কাঁচা চা পাতা ও রাবারের লেটেক্স (কষ) নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানান। সাধারণ ডায়েরি থেকে জানা যায়, চলমান শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে যে সকল বাগানের কাঁচা চা পাতা নষ্ট হচ্ছে রাজঘাট চা বাগানের কারখানায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৫ কেজি, ডিনস্টন চা বাগানের কারখানায় ৯৯ হাজার ২৫০ কেজি, বালিশিরা চা বাগান কারখানায় ৫০ হাজার ২০৭ কেজি, আমরাইল চা বাগান কারখানায ৫ হাজার ৬৮৩ কেজি কাঁচা চা পাতা নষ্ট হয়ে গেছে৷ অপরদিকে জাগছড়া চা বাগানে ২ হাজার ৩০৫ লিটার লিটেক্স (কষ) নষ্ট হয়ে গেছে। চা শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে উত্তোলিত চা পাতা ও রাবারের কষগুলো প্রক্রিয়াজাত করা যাচ্ছে না। তাই এই কাঁচা পাতাগুলো ও কস কারখানায় থেকে নষ্ট হচ্ছে এবং এতে মালিকপক্ষের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
সাধারণ ডায়েরি বিষয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি ইনকিলাবকে জানান, বাগান কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা বলব, এই চা পাতা নষ্ট হওয়ার পেছনে মালিক পক্ষই দায়ী। আমরা আন্দোলনে যাওয়ার আগে মালিকপক্ষকে মজুরি বাড়ানোর জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে আমরা টানা চার দিন মাত্র দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করি। তখন চা শ্রমিকেরা কর্মবিরতি করেও বাগানের সব কাজ করেছেন। দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি করেও আমরা চা বাগানের ক্ষতি করিনি। আমাদের দাবি তখনই মেনে নেওয়া বা আমাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে মালিকপক্ষ বসলে আজকের ধর্মঘটের প্রয়োজন পড়ত না। মালিকপক্ষ ইচ্ছে করেই কালক্ষেপণ করেই চায়ের ক্ষতি করছে। গত ১৯ মাস ধরে মজুরি সমস্যার সমাধান না করে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটার জন্য মূলত বাগান কর্তৃপক্ষ দায়ী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।