নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বরিশাল বুলস : ১৬১/৪ (২০.০ ওভারে), রাজশাহী কিংস : ১৪৪/৭ (২০.০ওভারে), ফল : বরিশাল বুলস ১৭ রানে জয়ী।
শামীম চৌধুরী : ১৯-২০ এই চারটি ওভারে নিজ দলের ব্যাটসম্যানরা হয়ে যায় প্রতিবন্ধী, প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা হয়ে যায় বাঘ। দলের অব্যাহত হারে বরিশাল বুলস ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগই তুলে ফিক্সিং সন্দেহ পোষণ করে ফেসবুকে মন্তব্য করেছিলেন দলটির ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবর। এই মন্তব্যের জবাবে দলটির অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম তাকে ‘পাগল’ বলে সম্বোধন করতে দ্বিধা করেননি। আসিফের ওই মন্তব্যের জবাব দিতে পেরেছে শেষ পর্যন্ত বরিশাল বুলস সøগের ৫ ওভারে। টানা ৬ হারের পর বরিশাল বুলস ছন্দ ফিরে পেয়েছে, সøগের ব্যাটিং-বোলিংয়ে ১৭ রানে হারিয়ে দিয়েছে গতকাল রাজশাহী কিংসকে। জয়টা অসময়ে পেলেও এই জয়ে প্লে অফের লড়াইটা জমিয়ে দিয়েছে বরিশাল বুলস।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে তুলনামুলক এগিয়ে ছিল রাজশাহী কিংসÑবরিশাল বুলসের ৩৩/১’র জবাবে রাজশাহী কিংসের স্কোর ৪৯/২। তবে প্রথম ৬ ওভারে ১৬ রান বেশি নিয়েও লাভ হয়নি। বরিশাল বুলসে’র নিয়মিত টপ অর্ডার শাহরিয়ার নাফিস গতকাল ৬ নম্বরে নেমে পেয়েছিলেন মাত্র ৬টি বল খেলার সুযোগÑওই ৬ বলে ফরহাদ রেজাকে স্কোয়ার লেগ, লং অফের উপর দিয়ে বিশাল দু’টি ছক্কায় ‘বরিশাল বুলস, সামাল, কামাল’ গানটির ঝংকার বাজিয়েছেন। ডেভিড মালানের ৩৩ বলে ৫৬, ফজলে রাব্বীর ৪৩ বলে ৪৩ কিংবা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাদের ৭০ বলে ১০০ রানের পার্টনারশিপে বরিশাল বুলস রাজশাহীকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার পথ সুগম করেছে ঠিকই। তবে ৬ বলে শাহরিয়ার নাফিসের ১৬ রান, শেষ ৩০ বলে ৪৭ বরিশাল বুলসকে দিয়েছে এগিয়ে।
১৬২’র জবাব দিতে এসে প্রথম ওভারে তাইজুলকে মুমিনুলের ছক্কা, কিংবা কামরুল ইসলাম রাব্বীকে পর পর ২ বলে সোহানের ২টি বাউন্ডারিতে রাজশাহী কিংস ছন্দময় শুরু করেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় চ্যালেঞ্জটা কঠিন হয়ে গেছে তাদের। এক এন্ডে আগলে থেকে ৫১ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৬২ রানে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন খানিকটা সময় সামিট প্যাটেল। তবে শেষ ৩০ বলে ৬৭ রানের টার্গেটটা দূরূহ করে দিয়েছেন বরিশাল বুলসের ক্যারিবিয়ান পেস বোলার রায়াদ এমরিত (৩/২৭)। ২৪টি ডেলিভারীর মধ্যে ১৩টিই তার ডটÑ১৯তম ওভারে ৫টির বেশি রান দেননি, ওই ওভারে প্যাটেল এবং ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচটি পুরোপুরি বরিশাল বুলসের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছেন এমরিত। তবে আফসোসটা থেকে গেল রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামীর। ৭ নম্বরে নেমে ৭টির বেশি বল খেলার সুযোগ যে পাননি তিনি। শেষ ওভারে পেরেরাকে পর পর ২ বলে ছক্কা, চার মেরেও যে সান্ত¦নার ভাষা পাচ্ছেন না খুঁজে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।
এই ম্যাচটি জিতলে গতকালই শেষ চারের ঠিকানা অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলতো রাজশাহী কিংস। তবে ১১তম ম্যাচে ৬ষ্ঠ হারে শেষ চারের সমীকরন মেলানোর পরীক্ষায় জটিল সমীকরনের মুখে এখন চারটি দল। ৪র্থ জয়ে অঙ্কের হিসেবে বরিশালের সম্ভাবনা কিন্তু এখনো আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।