নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আজ (১৬ আগস্ট) মঙ্গলবার ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে এক 'কালো দিন' হয়ে থাকবে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারতকে। সুনিল ছেত্রিদের ফুটবল বোর্ডের ওপর তৃতীয় পক্ষের খবরদারির কারণেই কঠোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা কাউন্সিল।
কোন দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর তৃতীয় কোন পক্ষের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব খাটানো ফিফার সংবিধানের পরিপন্থী। এক বিবৃতিতে ফিফা জানায়, 'ফিফা কাউন্সিল ব্যুরো অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃতীয় পক্ষের অযাচিত প্রভাব ফিফা সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন।'
আলাদা প্রশাসনিক কমিটি গঠন করলে ও অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সকল কার্যক্রমের ওপর সেই কমিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেই কেবল ফিফা তুলে নেবে এই নিষেধাজ্ঞা। এতে শঙ্কার মুখে পড়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ আয়োজন।
আগামী ১১-৩০ অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই বিশ্বকাপ। ফিফা জানায়, 'নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামী ১১-৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ এখন ভারতে আয়োজন সম্ভব নয়।'
তবে ফিফা আশাবাদী দ্রুতই নিজেদের ভুল শুধরে ফিরে আসবে ভারত, 'ভারতের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আমরা আশাবাদী ইতিবাচক ফলাফল আসবে।'
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এআইএফএফের সাবেক সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) দ্বারা সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফকে জাতীয় ফেডারেশনের নির্বাচনেরও নির্দেশ দিয়েছিল।
তবে ফুটবল ফেডারেশনের ওপর আদালতের এই খরবদারি সহজভাবে নেয়নি ফিফা। চলতি মাসের শুরুর দিকে কড়া ভাষায় এআইএফএফকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিল ফিফা। তবে এরপরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে না পারায় নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হল দেশটিকে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল এআইএফএফ। সর্বস্তরে ফুটবলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল সংস্থাটি। তবে এআইএফএফের দৈনন্দিন কার্যক্রমে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব এবং এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতের জাতীয় দল, ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) এবং আই-লিগ ক্লাবগুলো ফিফা অনুমোদিত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) এখনো তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।