নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঢাকা ডায়নামাইটস ঃ ১৮৮/৭ (২০.০ ওভারে)
রংপুর রাইডার্স ঃ ১৪৬/৮ (২০.০ ওভারে)
ফল ঃ ঢাকা ডায়নামাইটস ৪২ রানে জয়ী।
শামীম চৌধুরী : শ্রীলংকান লিজেন্ডারী সাঙ্গাকারার সঙ্গে যে ৯টি ইনিংসে ওপেন করেছেন মেহেদী মারুফ, ওই ইনিংসগুলোতে টুয়েন্টি-২০ ব্যাটিং বিনোদনে সাঙ্গাকারাকে ছাড়িয়ে গেছেন মারুফ। গতকাল সেই মারুফের ধুম ধাড়াক্কা ব্যাটিং হার মানল ইভিন লুইসের সামনে। বিপিএল ‘থ্রি’র এই ক্যাবিরিয়ান সেঞ্চুরিয়ানকে পেয়ে শক্তিটা আরো নিতে পেরেছে বাড়িয়ে সাকিবের ঢাকা। গতকাল তার ৩৪ বলে ৩ চার ৮ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস, ওপেনিংয়ে মেহেদী মারুফকে নিয়ে ১০৪ রানের পার্টনারশিপে রংপুরকে ১৮৯’র চ্যালেঞ্জ দিয়ে ৪২ রানের বিশাল জয়ে পয়েন্ট তালিকায় এককভাবে শীর্ষে উঠে এলো ঢাকা ডায়নামাইটস।
ঢাকা ডায়নামাইটসের ইনিংসে ঝড়ো শুরুটা করেছেন মারুফ, মোক্তার আলীকে দ্বিতীয় ওভারে দু’দু’টি বাউন্ডারি মেরে। তবে লুইসের পাল্লায় রংপুর রাইডার্স বোলারদের মাথা এলোমেলো হওয়া শুরু পরের ওভারেÑ সোহাগ গাজীকে স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে ছক্কায়। আফ্রিদি, সোহাগ গাজী, আরাফাত সানিÑ কেউ রক্ষা পাননি ইভিন লুইসের অত্যাচার থেকে। সোহাগ গাজী এবং আফ্রিদিকে পর পর ২ ওভারে ২টি করে ছক্কায় মাতিয়েছেন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম এই ক্যারিবিয়ান। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৫৬,১০ ওভারে ১০৪ রানে নেতৃত্ব দেয়া ইভিন লুইস আফ্রিদিকে স্ট্রেইট ছক্কায় ২১ বলে টুয়েন্টি-২০ ক্যারিয়ারে ১১তম ফিফটি দিয়েছেন উপহার। মাত্র ১ সপ্তাহ আগে বুলাওয়েতে শ্রীংকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ১৪৮ রানের ক্লাসিক ইনিংসের পর বিপিএলে খেলতে এসে ছক্কার বাহার! ঘোষণা দিয়ে গেইল যেখানে ব্যর্থ, সেখানে ঘোষণা না দিয়ে ছক্কায় মাতালেন ইভিন লুইস। ইভিন লুইসকে দেখে উদ্বুদ্ধ মারুফও কম যাননি, ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংসে ৩ চারের পাশে তার ৩ ছক্কার একটি আফ্রিদিকে সাইট স্ত্রিনের উপর! ওপেনিংয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের সেরা পার্টনারশিপটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে অকেশনাল পেসার সৌম্য’র শ্লোয়ার ডেলিভারীতে মারুফ বোল্ড হয়ে। ব্যাটিং ভুলে বোলিংয়ে মনোনিবেশ করা সৌম্য’র দ্বিতীয় ওভারে ইভিন লুইস লং অফে দিয়ে এসেছেন ক্যাচ। তবে এমন শুরুর পর ২’শতে চোখ যাদের স্কোর, সøগে সে ধারাবাহিকতা না থাকায় ১৮৮/৭এ থেমেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ছন্দ ফিরে পাওয়া শেষ স্পেলে (২-০-১৬-৩) ৩ শিকার রুবেলের। প্রথম স্পেলে সৌম্য (২-০-১৩-২)ও ও জিয়াউর (২-০-১৩-২) রহমানের বোলিংও ছিল প্রশংসিত।
প্রথম বাঁ হাতি স্পিনার হিসেবে এদিন টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে আড়াইশ’তম উইকেটের মুখ দেখেছেন সাকিব। ২১৯তম ম্যাচে রংপুর রাইডার্স মিডল অর্ডার রূপাসিংহেকে এলবিডাব্লুতে ফিরিয়ে দিয়ে সে উৎসবটাই করেছেন সাকিব। তার ৪ ওভারের টানা স্পেলটিও (৪-০-১১-২) রংপুরকে ভুগিয়েছে। যে স্পেলে ২৪ বলের মধ্যে ১১টিই ছিল ডট। জয়টা আরো বড় হতে পারতো। তবে স্কোরশিটে ৪৬/৬ থেকে ৭ম জুটিতে ৫৬ বলে ৮৭ রানে দলটি শেষ পর্যন্ত ১৪৬ পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেছে স্কোর। এমন দিনে টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে প্রথম ফিফটির মুখ দেখলেন জিয়াউর রহমান। ৩৬ বলে ফিফটি উদযাপন করে শেষ পর্যন্ত ইনিংস টেনে নিয়েছেন ৬০ রানে (৪৩ বলে ৬ চার ৩ ছক্কা)। যার মধ্যে প্রসন্নকে এক ওভারে টানা ৩ বলে ১ ছক্কা, ২ চারে মাতিয়েছেন। টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট শিকারী ডুয়াইন ব্রাভোকে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কাটিও ছিল দেখার মতো। ৮ নম্বরে নেমে সোহাগ গাজীর ২৬ বলে ৩৬ রানেও সান্ত¦না খুঁজে পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। তবে ১০ম ম্যাচে ৫ম হারে প্লে অফের সম্ভাবনাটি ঝুলে রইল শেষ ২ ম্যাচের উপর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।