মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিনি যতটা পরিপাটি, স্ত্রীর নাকি ততটাই অগোছালো! জামা-কাপড় থেকে জুতো — ঘরে সবকিছুই থাকে ছড়ানো-ছিটানো! স্ত্রী প্রসঙ্গে এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের। আর তার এই মন্তব্যের পরই টেমসের তীরে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি দাম্পত্য জীবনে চরম অসুখী ঋষি? প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের মধ্যেই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইনি পথে হাঁটবেন তিনি? নাকি সহানুভূতির ভোট পেতে নিজের বৈবাহিক জীবনকেও প্রকাশ্যে আনলেন বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই? অন্যদিকে এই খবর প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এই ইস্যুতে ঋষি-পত্নী অক্ষতা মূর্তির তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের বৈবাহিক জীবনের কথা উল্লেখ করেন ঋষি সুনাক। তার কথায়, “স্বভাবগতভাবেই অত্যন্ত পরিপাটি থাকতে পছন্দ করি। অন্যদিকে আমার স্ত্রী অত্যন্ত অগোছালো প্রকৃতির। জামা, জুতো … হে ঈশ্বর … ঘরের মধ্যে সে জুতোও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। সে একটা দুঃস্বপ্নের মতো!” ঋষির আরও দাবি, “প্রকাশ্যে বৈবাহিক জীবনের সমস্যার কথা বলা মোটেই পছন্দ করে না অক্ষতা। কিন্তু সত্যি বলতে কখনও পিছিয়ে আসা উচিত নয়। আমি তার এই স্বভাব একেবারেই পছন্দ করি না। কিন্তু সংসার করতে মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করছি।”
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ার সময় অক্ষতার সঙ্গে আলাপ হয় ঋষির। সেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, শেষে পরিণয়। ২০০৬-তে ব্যাঙ্গালুরুতে বিয়ে হয় দু’জনের। দম্পতির দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। “তাদের বড় হয়ে ওঠার সময় আমি ব্যবসা করতাম। ওই দিনগুলোতে আমার সময় জ্ঞান ছিল প্রচণ্ড। তাই মেয়েদের বড় হয়ে ওঠাটা দু’চোখ ভরে দেখতে পেরেছি। ছোটদের অসম্ভব ভাল আগে আমার। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কোনও শিশুকে দেখলেই এগিয়ে দিতাম আমার হাত।” ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন ঋষি।
বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেও এর আগে স্ত্রীর বিপুল সম্পত্তির জেরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ঋষি। তার বিরুদ্ধে ইনফোসিসে অক্ষতা মূর্তির অংশীদারিত্ব থেকে প্রাপ্ত আয় বাবদ অর্থের উপর কর না দেয়ার অভিযোগ ওঠে। স্ত্রীকে নাকি ‘নন ডোমিসাইলড’-র তকমা পাইয়ে দিয়েছিলেন ঋষি। ব্রিটেনের স্থায়ী নাগরিক না হলে তবেই পাওয়া যায় এই তকমা। সেই বিতর্ক কাটতে না কাটতেই এবার দাম্পত্য জীবন নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন তিনি। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।