Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

 ইদগাহ ময়দানে হিন্দুদের অনুষ্ঠানের অনুমতি, নতুন করে বিতর্ক ভারতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ৭:৫৮ পিএম

বেঙ্গালুরুর ইদগাহ ময়দানে হবে হিন্দুদের গণেশ চতুর্থীর অনুষ্ঠান। কর্নাটক সরকার এই অনুমতি দেয়ার পর হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা। হাই কোর্টও অনুমতি দেয়ায় ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে কর্নাটক ওয়াকফ বোর্ড। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করছে। বুধবার গণেশ চতুর্থীর অনুষ্ঠান শুরুর আগেই এই জটিলতা কাটাতে উদ্যোগী হল শীর্ষ আদালত।

কেন ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থীর অনুষ্ঠান? এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি হয় মঙ্গলবার। এ দিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা শীর্ষ আদালতে জানান, কর্ণাটক সরকার বেঙ্গালুরু ইদগাহ মাঠকে আগামী বুধ এবং বৃহস্পতিবার গণেশ চতুর্থী উদ্‌যাপনের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে কর্নাটক হাই কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। মঙ্গলবার প্রথমে এই মামলার শুনানির সময় জানায়, দুই বিচারপতির মতপার্থক্য রয়েছে। তাই মামলাটি তিন সদস্যের বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে। ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি এএস ওকা এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ।

শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মনে এমন ধারণা দেবেন না যে, তাদের অধিকার এ ভাবে পদদলিত হতে পারে।’ তার আবেদন কোনও ভাবেই ইদগাহ ময়দানে যেন গণেশ চতুর্থী উৎসব পালনের অনুমতি দেয়া না হয়। তিনি যুক্তি দেখান, কোনও দিন ওই স্থানে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয়নি। আইন অনুযায়ী ওই জায়গা ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। হঠাৎ ২০২২ সালে বিতর্কিত জমি বলে ঘোষণা করছে এক দল।

অন্য পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহতগির দাবি, দিল্লিতে দশেরা উপলক্ষে সর্বত্র কুশপুতুল দাহ হয়। সেখানে কি মানুষ বলে যে হিন্দুদের এই অনুষ্ঠান পালন করা যাবে না? আইনজীবীর কথায়, ‘আমাদের উদার হওয়া দরকার। গুজরাতে অনুষ্ঠানের সময় রাস্তা-সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। তাহলে ওই ময়দানে দুদিন গণেশ চতুর্থী পালনের অনুমতি দিলে কী এমন হয়ে যায়!’

এই প্রেক্ষিতে আইনজীবী দাভের মন্তব্য, ‘এ দেশে এমন কোনও মন্দির আছে যেখানে সংখ্যালঘুদের প্রার্থনার জন্য স্বাগত জানানো হয়?’ সব মিলিয়ে ভারতে নতুন করে বিতর্ক জন্ম দিয়েছে কর্ণাটক সরকারের এ সিদ্ধান্ত। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ