নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার পৃথকস্থানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ প্রতারককে আটক করেছে। আটককৃতরা নিজেদের জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর ১০টি মোবাইল সীম, ১টি ম্যাগনেট ও ১০টি ধাতব মুদ্রা জব্দ করা হয়।

বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পৃথকস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হচ্ছেন, নোয়াখালী পৌর এলাকার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে আবদুল মমিন (৬১), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ইমাম উদ্দিন রাসেল (৩৫), বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শরীফপুর গ্রামের মোরশেদ আলমের ছেলে আজিজুল হক (৪১), আলী করিমের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৬), চৌমুহনী পৌর হাজীপুর এলাকার ফজলুল হকের ছেলে নূর নবী মানিক (৪৭) এবং গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ গ্রামের আবদুর রবের ছেলে নূর হোসেন (৫০)।

পুলিশ জানায়, আটককৃত প্রতারকরা গত ২০১৮ সাল থেকে নিজেদের জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তার নিজেদের মধ্যে যোগসাজসের মাধ্যমে কখনও মানুষকে লোভে ফেলে, কখনও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাত করে আসছে। এরই মধ্যে ওই দলের প্রধান আবদুল মমিন তার সহযোগিদের নিয়ে ৩জন ব্যক্তির কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে সর্বমোট ১ কোটি ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মূল ম্যাগনেটটি পলাতক আরেক প্রতারক রিপনের কাছে আছে। এ চক্রের অন্য সদস্যদের আটক করতে অভিযান চলমান রয়েছে।