মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাক দিয়ে গলগল করে বেরচ্ছে রক্ত! সঙ্গে ধুম জ্বর আর মাথা যন্ত্রনা। তারপরই কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু! মারবার্গ ভাইরাসের পর আফ্রিকায় এবার ভয়াবহ ব়্যাট ফিভারের থাবা। ব্যাকটেরিয়াজনিত এই রোগে ইতিমধ্যেই তানজানিয়া প্রদেশের ২০ জন বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। একের পর এক অতি সংক্রামক রোগের দাপটে কাঁপছে আফ্রিকা।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই তানজানিয়া প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বে লিন্ডি অঞ্চলের ২০ জন বাসিন্দার শরীরে অদ্ভুত রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এরপরই পরীক্ষা করে দেখা যায়, ইঁদুরের থেকে তাদের শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরই তিনজন আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। চিকিৎসার পরিভাষায় ব়্যাট ফিভারের নাম 'লেপটোসপাইরোসিস' অথবা 'ওয়েলস' রোগ।
পূর্ব আফ্রিকার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যাকটেয়িয়ায় আক্রান্ত ইঁদুর কোনও খাদ্যদ্রব্যে মুখ দিলে অথবা পানিতে ইঁদুরের মূত্র পাওয়া গেলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সেই খাবার কিংবা পানি মানুষের শরীরে গেলেই ব়্যাট ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ১০০ শতাংশ। এমনটাই জানাচ্ছেন, পূর্ব আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী উমি মলিমু। তবে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে এও বলেছেন, "আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্তদের সারিয়ে তোলা সম্ভব।"
এদিকে, প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে ২০ জন তানজানিয়ার বাসিন্দা এই ব়্যাট ফিভারে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের সকলেরই কোভিড, মারবার্গ এবং মাঙ্কিপক্স পরীক্ষা হয়। যদিও সবকটির রিপোর্টই নেগেটিভ আসে। অর্থাৎ ব়্যাট ফিভারে আক্রান্ত কারওই শরীরে অন্য কোনও ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
পূর্ব আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, ব়্যাট ফিভারে আক্রান্তদের মূল উপসর্গ, নাক থেকে গলগল করে রক্ত বেরনো। এছাড়াও এই রোগে আক্রান্তদের জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, মাথাঘোরার মতো উপসর্গ দেখা যায়। পাশাপাশি মারাত্মক আকার ধারণ করলে ব়্যাট ফিভারে আক্রান্তদের শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়। এমনকী আক্রান্তদের কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। পরিবেশ দূষণের জেরে জীবজন্তুর বাসস্থান নষ্ট হচ্ছে। ফলে জনবসতির মধ্যেই থাকছে নানাবিধ জীবজন্তু। আর এই সহাবস্থানের জন্যই এই ধরণের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ছে।" সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।